আইএসএলের প্রথম ম্যাচ ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে জয় দরকার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ফলে শুরু থেকেই ক্লেটন সিলভাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সেই ক্লেটনই জেতালেন ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথম পিছিয়ে পড়ার পরে সমতা ফেরালেন। তার পরে শেষ দিকে ডান পায়ের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে জয়সূচক গোল করলেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে খেলার বিপরীতে প্রথম গোল করে হায়দরাবাদ। প্রতি আক্রমণ থেকে লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে গোল করেন হিতেশ শর্মা। অবশ্য সেই লিড বেশি ক্ষণ থাকেনি। দু’মিনিট পরেই সমতা ফেরান ক্লেইটন। বক্সের মধ্যে বোরহাকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টির আবেদন করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রেফারি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ফিরতি বলে গোল করে সমতা ফেরান ক্লেটন।
১০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হওয়ায় মনে হয়েছিল আরও গোল হবে ম্যাচে। কিন্তু তার পরেই শুরু হল ভুল পাস, সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী। দু’দলই সমান খেলল। বেশির ভাগ খেলা হল মাঝমাঠে। প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে আটকে গেল দু’দলের যাবতীয় আক্রমণ।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনি। ফলে উঠে যেতে হয় তাঁকে। বিরতিতে ১-১ ফলে সাজঘরে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ফুটবল। ভাল আক্রমণ খুব কমই তুলে আনল দু’দল। একটি পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে তিনটি শট মারলেও মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে। ইস্টবেঙ্গল প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ১১টি শট মেরেছিল। কিন্তু তার মধ্যেও মাত্র দু’টি লক্ষ্যে ছিল। সুযোগ কম তৈরি করতে পারায় গোল হচ্ছিল না।
গোল না আসায় মাঝেমধ্যে মাথা গরম করছিলেন দু’দলের ফুটবলারেরা। ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছিল রেফারিকে। পরিবর্ত হিসাবে নেমে ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন সিভেরিয়ো। বক্সের মধ্যে থেকে তাঁর হেড একটুর জন্য বাইরে দিয়ে যায়। শেষ দিকে চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে জিতিয়ে দেন ক্লেটন। শেষ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুয়োগ ফস্কায় হায়দরাবাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy