মৌসম নুর
অন্য প্রার্থীদের তুলনায় সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য, তাই মৌসম নুরকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হয়েছে বলে জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ফৌজদারি অপরাধ থাকা সত্ত্বেও মৌসমকে প্রার্থী করা হচ্ছে কেন, সেই বিষয়ে তৃণমূলের ব্যাখ্যা এটাই। মৌসমের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁকে হেনস্থা করতে এবং তাঁর ভাবমূর্তিতে আঘাত করতেই এটা করা হয়েছে। মৌসমের এই বক্তব্য উল্লেখ করেছে তৃণমূল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যসভায় (কমিশন পরিচালিত ভোটেও) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানাতে হবে। সেই সূত্রেই মৌসমের বিষয়ে শুক্রবার দলীয় ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। অন্য প্রার্থীদের বদলে মৌসম কেন, তার ব্যাখ্যায় মৌসম এবং তাঁর পরিবারের কর্মকাণ্ডই তুলে ধরেছে রাজ্যের শাসক দল। তারা বলছে, মৌসম এবং তাঁর পরিবার কয়েক দশক ধরে সমাজসেবা ও জনজীবন সংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে ‘প্র্যাক্টিস’ করেছেন। এই সব কারণেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটে জানান তৃণমূলের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মৌসমের বিরুদ্ধে চুরি, সরকারি কাজে বাধাদান-সহ কয়েকটি ধারায় দু’টি মামলা রয়েছে। একটি মামলা মালদহে, অন্যটি বারাসতে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালতে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, কোনও অভিযোগহীন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী করা হল না, তা ন্যূনতম ১০০ শব্দে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী করা হল, তা-ও জানাতে হবে। নির্দেশ না-মানলে তা সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে। মৌসমের প্রার্থী-পদ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ায় সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো? তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি-সহ ১৭টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে ২৬ মার্চ। মনোনয়নপত্র পেশের পর্ব এ দিনই শেষ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy