নড্ডা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতিপরায়ন বলে আক্রমণ করায় পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলার শাসকদল। নিজস্ব চিত্র।
দলে দুর্নীতি থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নিয়ে বিতর্ক! রবিবার পূর্বস্থলী ও রামনগরের সভা থেকে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এর জবাবা দিতে তৃণমূল কোনও মুখপাত্রকে দায়িত্ব না দিয়ে লিখিত বিবৃতি দিল।
নড্ডা অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ও মিড মে মিল নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। পাল্টা লিখিত জবাবে তৃণমূল দাবি করেছে, বাংলায় বিজেপি নেতারাই আবাস যোজনায় নিজেদের নাম ঢুকিয়েছে। শনিবার মাথাভাঙায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান দীপ্তি বর্মণের বিরুদ্ধে স্বজনপোষন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। লিখিত বিবৃতিতে সে কথা তুলে ধরা হয়েছে।
১০০ দিনের কাজে যে দুর্নীতির কথা বলেছেন নড্ডা। তার জবাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর যুক্ত থাকার পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ওই জেলায় এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮৮ জব কার্ড বাতিল হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো অর্থ বাংলায় নয়ছয় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সভাপতি। জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থ বিজেপির অর্থ নয়। বরং, যে অনৈতিক কায়দায় ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, তা ফৌজদারি অপরাধের সমান। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাজেটে যে ১০০ দিনের বরাদ্দ কমানো হয়েছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে তৃণমূলের লিখিত বিবৃতিতে।
বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হচ্ছে বলেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন নড্ডা। জবাবে তৃণমূল বলেছে, বেছে বেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল বাংলায় পাঠানো হচ্ছে রাজ্য সরকারকে বদনাম করার লক্ষ্যে। মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি হলেও, সেখানে কোনও কেন্দ্রীয় দল কেন পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
নড্ডা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতিপরায়ন বলে আক্রমণ করায় পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলার শাসকদল। শুভেন্দুর উদাহারণ টেনে সারদা, নারদাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ছাড়াও এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের ঘর থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলেই দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলে কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লিখিত বিবৃতিতে।
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ভাল ফল করা নিয়ে নড্ডা যে মন্তব্য করেছেন, তা যে ভুল প্রমাণিত হবে, তাও ওই বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। বিরোধী দলনেতার পরিবারকে কাঁথির মানুষ কী ভাবে পুরসভা থেকে উৎখাত করেছে, তাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। এ ছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে এনে তাঁদের সঠিক পথ দেখাতে যে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ হয়েছে, তাও নড্ডাকে খোঁচা দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে তৃণমূল। সঙ্গে রাজ্যে কেন আয়ুষ্মান ভারত চালু করা হল না, তারও বিস্তারিত জবাব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy