এখনও স্কুলগুলিতে বেতন পোর্টাল খোলেনি। ফলে সেই পোর্টালে বাতিল হওয়া শিক্ষকদের নাম আছে কিনা তা জানেন না প্রধান শিক্ষকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাতিল হওয়া শিক্ষকেরা আগামী মাসে বেতন পাবেন কি না সেই বিষয়ে তাঁরা এখনও অন্ধকারে।
বেতন পোর্টালে শিক্ষকদের বেতন আপডেট করতে হয় প্রতি মাসের এক থেকে দশ তারিখের মধ্যে। প্রধান শিক্ষকদের একটা বড় অংশ জানাচ্ছেন, ওই পোর্টালে কোনও শিক্ষকের নাম সংযোজন করা বা বাদ দেওয়ার অধিকার তাঁদের নেই। কোনও শিক্ষকের যদি আয়কর বা প্রভিডেন্ট ফান্ডে কিছু পরিবর্তন থাকে, সেই পরিবর্তনটুকু তাঁরা
লিখতে পারেন।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, শিক্ষকদের সম্প্রতি যে চার শতাংশ ডিএ বেড়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করার কাজ চলছে। তাই পোর্টাল বন্ধ আছে। এক প্রধান শিক্ষকের প্রশ্ন, ‘‘ডিএ-র তথ্য আপডেট হতে এত সময় লাগছে?’’ এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা বলেছেন তাঁদের কাছে এখনও শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ আসেনি। তবে আমরা শুনতে পেয়েছি চাকরিহারা শিক্ষকদের নাম পোর্টালে বাদ দিতে হবে।’’ শিক্ষকদের বেতনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে যত ক্ষণ না ব্যাখ্যা দিচ্ছে, কিছু বলব না।’’
‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬’-র তরফে চাকরিহারা শিক্ষক মেহেবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে নিশ্চিত খবর আছে চাকরিহারা শিক্ষকদের নাম বেতন পোর্টালে তোলা হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা বুধবার রাজ্যের সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও ও তালা মারার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)