রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য টাকা না ছাড়া নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অডিয়োর পাল্টা অডিয়ো পোস্ট করল তৃণমূল। —ফাইল ছবি।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য টাকা না ছাড়া নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অডিয়োর পাল্টা অডিয়ো পোস্ট করল তৃণমূল। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের একটি অডিয়ো দলের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সুকান্তকে আক্রমণ করল ঘাসফুল শিবির। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল লেখে, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে প্রকল্পের টাকার জন্য বিজেপি নেতাদের সাহায্য চাইতে পারেন রাজ্যের মানুষ। কিন্তু আমরা যখন তাঁদের বিধায়কের কাছে গেলাম তিনি তা খণ্ডন করে দিলেন।’’ ওই পোস্টে দলের এক কর্মীর সঙ্গে অগ্নিমিত্রার কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ করে তৃণমূল। যদিও এই অডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।
রবিবার সুকান্ত একটি অডিয়ো প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘‘সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন। জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকার হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ রবিবার বিকেলে এর পাল্টা একটি অডিয়ো প্রকাশ করে তৃণমূল। দলের এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে অগ্নিমিত্রার কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ করা হয়। যেখানে ওই মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘‘হিসাব দিলে কি আপনারা টাকা পাঠিয়ে দেবেন? সুকান্তবাবু বলেছেন যে, টাকার হিসাব পাঠালে আপনারা ব্যবস্থা করে দেবেন।’’ ওই অডিয়ো অনুযায়ী উত্তরে অগ্নিমিত্রা জানান, আমাদের হিসাব পাঠাতে হবে না। আমাদের সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পাঠাতে হবে। অর্থাৎ, সুকান্ত মানুষের কাছে হিসাব চাইলেও অগ্নিমিত্রার মতে, হিসাব সরকার পাঠালেই টাকা পাওয়া যাবে।
অডিয়ো মোতাবেক হাওড়া জেলার ওই তৃণমূল কর্মী বিজেপি বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, ‘‘আমাদের সরকার তো হিসাব দেওয়ার জন্য দিল্লি গিয়েছিল। কিন্তু আপনারা তো সময় দেননি।’’ বিজেপি নেত্রীর উত্তর, ‘‘ওই দিন মন্ত্রী দফতরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কেউ দেখা করতে যাননি। এর পরে ওই মহিলার উদ্দেশে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘আপনাদের নেতৃত্বকে বলুন চার থেকে পাঁচ জন মিলে গিয়ে দেখা করুন।’’ পাল্টা ওই মহিলা বলেন, ‘‘যদি ১০০ দিনের টাকা প্রতিটা মানুষের বাকি থাকে তবে প্রতিটা মানুষ কেন যাবেন না? ভোট দেওয়ার সময় তো প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা করে ভোট দেয়।’’ অগ্নিমিত্রার বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল বলে, ‘‘মুষ্টিমেয় কয়েকটি নয়, সমগ্র দেশের জনগণের ভোটে নেতারা নির্বাচিত হন। তা হলে বিজেপির জমিদারের জন্য যাঁদের জীবিকা ঝুঁকির মুখে কেন তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলবেন না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy