দ্বন্দ্ব: বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বচসায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। ছবি: সুমন বল্লভ
নির্বিবাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়কদের সঙ্গে তৃণমূলের এক বিধায়কের বিবাদে! ঘটনার জেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ জানিয়েছেন মোর্চা বিধায়কেরা। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক লীনা নন্দন সোমবারই বিধায়কদের তর্কাতর্কির ফুটেজ পাঠিয়েছেন কমিশনের কাছে। পাহাড়ের পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, সেই সময়ে প্রায় পায়ে পা লাগিয়ে বিবাদে জড়িয়ে শাসক দলের বিধায়ক অযাচিত বিপত্তি ডেকে এনেছেন বলেই মত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। মুখ্যমন্ত্রীও বিধায়কের ওই আচরণে ক্ষুব্ধ। স্পিকারের ঘরে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সেই অসন্তোষ বেরিয়েও এসেছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য বিধানসভার লবিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন পাহাড়ের তিন বিধায়ক রোহিত শর্মা, সরিতা রাই ও অমর সিংহ রাই। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক প্রস্ত বচসা সেরে লবির দিকে ফিরছিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। মোর্চার তিন বিধায়ককে দেখে তিনি উঁচু গলায় প্রশ্ন তোলেন, পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে এখানে তাঁরা কেন এসেছেন? বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত করে বিধানসভায় কী করছেন? হতচকিত মোর্চা বিধায়কেরা জানতে চান, ভোট দিতে এসে এক জন বিধায়ক হয়েও পরেশবাবু এমন আচরণ কেন করছেন? পরেশবাবুও না দমে নানা মন্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। এক সময়ে রোহিত বলেন, ‘‘দাদা, এই কথাগুলো পাহাড়ে গিয়ে বলুন না!’’
উপস্থিত অন্যান্য বিধায়ক ও আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে বচসা থামে। কিন্তু তার পরেই কমিশনের পর্যবেক্ষকের কাছে রোহিতেরা অভিযোগ করেন, বিধানসভার মধ্যেই তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পর্যবেক্ষকের মাধ্যমেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। পরেশবাবু তখনও বলে যাচ্ছিলেন, ভুল কী বলেছি! পরে অবশ্য তাঁকে আর মুখ খুলতে শোনা যায়নি। আর রোহিত পরে বলেন, ‘‘অযাচিত, শিশুসুলভ আচরণ! পাহাড়ের প্রতি শাসক দলের মনোভাব কী, বোঝাই যাচ্ছে।’’ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাচক্রে এ দিনই পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের জন্য মোর্চার বিধায়কদের তাঁর ঘরে ডেকেছিলেন। আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা বলেন, পরেশবাবু প্ররোচনা দিয়ে মোর্চার হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। পাহাড়ে মোর্চা অন্যায় করছে বলে জানিয়েও পরেশবাবুর আচরণ মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন করেননি বলেই বিধানসভা সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy