শান্তনু সেন। ফাইল চিত্র।
সংসদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং বা স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরে আসার ঘটনাটি চর্চার বিষয় হয়ে উঠল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই বৈঠক চলাকালীনই কেন্দ্রীয় প্রকল্পটির ফাঁকফোকর নিয়ে সরব হলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য শান্তনু সেন।
নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে সোমবার ছিল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক। ৩১ জন সদস্যের মধ্যে ২৬ জন বৈঠকে ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদানের উপস্থিতিতে ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিমা প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন আয়ুষ্মান ভারতের সিইও ইন্দু ভূষণ। বৈঠকে হাজির কমিটির এক সদস্য জানান, উপস্থাপনার মধ্যে সিইও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রথম সাড়ে তিন মাস প্রকল্পে ছিল। লোকসভা ভোটের আগে বাংলা এই প্রকল্প থেকে কেন নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল, তা জানি না!’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের মতে, এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
শান্তনুবাবু জানান, রাজ্য বেরিয়ে গেল কেন, তার উত্তর আছে ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনার মধ্যেই। আয়ুষ্মান ভারত রাজ্য-কেন্দ্রের যৌথ প্রকল্প। খরচের ৬০% দেবে কেন্দ্র। ৪০% দেবে রাজ্যকে। অথচ লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্ট কার্ড রাজ্যবাসীর বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে বলা হল, প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের যোজনা। রাজ্যের ভূমিকার উল্লেখই করা হল না।
শান্তনুবাবু জানতে চান, ওই প্রকল্পে ১৩৯৩টি রোগের ‘প্যাকেজ রেট’ তৈরি করা হয়েছে। প্যাকেজ রেট এবং কোন কোন হাসপাতাল তালিকাভুক্ত হবে, তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি কেন? বৈঠকের পরে শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘প্রকল্প নিয়ে কিছু কথা জানতে চেয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর পাব বলে জানিয়েছেন সচিব এবং সিইও।’’
সংসদীয় কমিটির সদস্য, বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ ভিন রাজ্যে অসুস্থ হলে কোথায় যাবেন? কেন্দ্র ৬০% দিচ্ছে, তাই প্রকল্পে যোগ দিলে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হত। ওই টাকা অন্য কাজে লাগানো যেত। বাংলার মানুষের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গেও আয়ুষ্মান ভারত চালু হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy