লোকসভায় বক্তৃতা করছেন সায়নী ঘোষ, পাশে হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রাজ্যসভা টিভি।
লোকসভায় প্রথম বক্তৃতায় কবি সুভাষ-বারুইপুর মেট্রোর কাজ ১৩ বছরে একটুও না এগোনো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ তুললেন আরামবাগ-বিষ্ণুপুর রেলপথ সম্প্রসারণ থমকে থাকার প্রসঙ্গ। সায়নী এবং মিতালি দু’জনেই এ বার প্রথম জিতেছেন। দু’জনেই তাঁদের প্রথম বক্তৃতায় নিজেদের সংসদীয় কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। যার মূল জায়গা জুড়ে রইল মেট্রো এবং রেল।
লোকসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। মঙ্গলবার বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে সোমবার লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। সেখানে সায়নী বলেন, ‘‘২০১১-১২ অর্থবর্ষের রেল বাজেটে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) থেকে বারুইপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। প্রস্তাব ছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে আদিগঙ্গার উপরে মেট্রো ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেই কাজও এগোয়নি।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই মেট্রো সম্প্রসারণের বিষয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা বাজেটে মঞ্জুর করেছিলেন।
যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ এ-ও অভিযোগ করেন, রেল বোর্ডও প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়নি। কলকাতা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের বারুইপুর এখন বৃহত্তর কলকাতারই অংশ। লোকসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোকাল ট্রেনে করেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে কলকাতায় আসতে হয়। বাস্তব সমস্যার কথা উল্লেখ করে সায়নী মেট্রো সম্প্রসারণের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন সংসদে।
আরামবাগের মিতালি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই আরামবাগ-বিষ্ণুপুর রেল সম্প্রসারণের বিষয়ে বরাদ্দ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই কাজ গত ১৩ বছরে এগোয়নি।’’ আরামবাগের পর গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চললেও তার পর জমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম গোঘাটের ভবাদিঘি। মিতালি দাবি করেন, দ্রুত সেই জট কাটিয়ে রেলপথ সম্প্রসারণ করা হোক। পাশাপাশিই, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিও তুলেছেন মিতালি। সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের পদক্ষেপও দাবি করেছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ।
কোচবিহারে রেলব্রিজের দাবি তুলে সোমবার সরব হয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াও। তাঁর বক্তব্য, রেলব্রিজের জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন। যা অনেক দিন ধরেই আটকে রয়েছে। শীঘ্রই যাতে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়, সেই দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy