মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অপপ্রচারের অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠাল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন মঙ্গলবার এই চিঠি পাঠিয়েছেন। জাতীয় দল হিসাবে তৃণমূলের স্বীকৃতি বাঁচানোর জন্য মমতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন বলে মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভায় শুভেন্দু যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে এই নোটিস। এই নোটিসের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে শাহের দিল্লির ঠিকানাতেও।
নোটিসে সিঙ্গুরের সভায় বাংলায় শুভেন্দুর মন্তব্য এবং তাঁর ইংরেজি তর্জমা তুলে ধরে ডেরেক লিখেছেন, ‘‘আমাদের দলের সম্মাননীয় চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য অবমাননাকর। জনসমক্ষে এমন অসত্য কথা বলে আপনি আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছেন।’’ এর পরেই শুভেন্দুকে ডেরেকের হুঁশিয়ারি, ‘‘অবিলম্বে এমন অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আমরা আপনার এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করব।’’
আরও পড়ুন:
বিতর্কের সূত্রপাত মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দুর বক্তব্যে। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, ‘‘সর্বভারতীয় তকমা হারানোর পরে অমিত শাহকে চার বার ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪ সাল অর্থাৎ লোকসভা ভোট পর্যন্ত যাতে এই তকমা বজায় থাকে, তা নিয়ে চার বার ফোন করে অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে নিয়ম মেনেই করেছে।’’
আরও পড়ুন:
শুভেন্দুর নাম না করে তাঁর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, শাহকে ফোন করার অভিযোগ ডাহা অসত্য। নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বিজেপির ‘ভুঁইফোড় নেতা’ বলে চিহ্নিত করে চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেন, ‘‘যদি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, তা হলে আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদও ছেড়ে দেব। আমাকে এত সহজ ভাবার কোনও কারণ নেই। আমি দীর্ঘ দিন রাজনীতি করছি।’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘প্রমাণ করতে না পারলে তুমি মানুষের সামনে নাকখত দেবে তো?”
মমতার ওই বক্তব্যের পরেই টুইটারে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা (এই ভয় দেখে ভাল লাগছে)।’’ সেই সঙ্গে লেখেন, ‘‘ল্যান্ডলাইন থেকে দিল্লিতে ফোন করা হয়েছিল। যথা সময়ে সব ফাঁস করব। আগমিকাল যোগ্য জবাব দেব।’’