মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে জল্পনা চলছে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত দলবল করে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিল সহযোগী পদ্মশিবিরকে।
শিবসেনা (শিন্ডে)-র মুখপাত্র সঞ্জয় সিরসত বুধবার বলেন, ‘‘স্পষ্ট ভাষায় বিজেপিকে একটা কথা বলে দিতে চাই, এনসিপিকে যদি সঙ্গে নেওয়া হয় তবে আমরা বিজেপির সঙ্গে সেই সরকারে থাকব না।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুঞ্জন তৈরি হয়, অজিত এনসিপি-র ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন।
আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রে এখন শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা শিন্ডের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার চলছে। কিন্তু দলত্যাগ-বিরোধী আইনে শিন্ডে এবং তাঁর বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সম্ভাব্য সেই পরিস্থিতিতে শিন্ডের পরিবর্তে অজিতের সঙ্গে হাত মেলানোর ‘বিকল্প পরিকল্পনা’ বিজেপি তৈরি করেছে বলে মরাঠা রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন।
মঙ্গলবার রাতে শরদ, তাঁর সাংসদ-কন্যা সুপ্রিয়া এবং ভাইপো অজিত, তিন জনেই এনসিপিতে ভাঙনের ‘জল্পনা’ খারিজ করে দেন। শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে শিবসেনায় ভাঙন এবং উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাডী’র বৃহত্তম দল হয়েছে এনসিপি। দলের পরিষদীয় নেতা হিসেবে গত জুলাই মাসে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন অজিত। তার আগে উদ্ধব সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তিনি দল ছাড়লে এনসিপি সঙ্কটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অজিত মঙ্গলবার নাটকীয় ভাবে ঘোষণা করেন, তিনি যত দিন বাঁচবেন, এনসিপি-র জন্যই কাজ করবেন। কিন্তু তাঁর এই ঘোষণায় জল্পনা থামছে না। গত ডিসেম্বরে এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। সে সময় কাকার বক্তৃতার মাঝেই বৈঠক ছেড়ে চলে যান অজিত। বস্তুত, তার পর থেকেই তাঁর এনসিপি ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছে মরাঠা রাজনীতিতে।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরেও এনসিপি প্রধান শরদের ভাইপো অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়ে তাঁদের দু’জনকে। অজিত আবার শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাডী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন শরদ।