গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
তিনি রাজনীতি এবং ওকালতি— দুই’ই ছাড়তে চান। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় কল্যাণ ওই মন্তব্য করেন। কল্যাণের ওই মন্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূলের বর্যীয়ান সাংসদ ‘কথার কথা’ হিসেবেই ওই মন্তব্য করে থাকবেন।
শুক্রবার সকালে কল্যাণ এবং বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে যে কথোপকথন হয়, তার নির্বাচিত অংশ তুলে দিল আনন্দবাজার অনলাইন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: আরে কল্যাণদা! কেমন আছেন?
কল্যাণ: আপনি যেমন রেখেছেন।
বিচারপতি: আপনি আমার নামে কী সব বলছেন শুনলাম!
কল্যাণ: হ্যাঁ, বলেছি। আমাকে পারলে জেলে ঢুকিয়ে দিন!
বিচারপতি: আরে না-না! এমনি বললাম। আমি তো আপনার ভক্ত। আপনার মতো লোক ক’জন আছে?
কল্যাণ: এ ভাবে বলবেন না। এটাই আজকে ব্রেকিং নিউজ হয়ে যাবে।
বিচারপতি: আমি যখন বার অ্যাসোসিয়েশনে ছিলাম, তখন থেকেই আপনাকে আমি পছন্দ করি। আপনি জানেন তো?
কল্যাণ: আমরা কোনও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলছি না। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল রাখাই উচিত। আমি আপনার বিরুদ্ধে যা বলেছি, তা ডিভিশন বেঞ্চে।
বিচারপতি: সেটা আপনার অধিকার। অবশ্যই বলবেন।
কল্যাণ: রাজনীতি ও ওকালতি দুইই ছাড়তে চাই। কিন্তু উপায় নেই। আমার তো টাকা রোজগারের ধান্দা নেই। আমি শ্রীরাধারও ভক্ত। যাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলেন, নিজেকে বড় রামভক্ত বলেন, তাঁরাও আমার মতো রামের স্তুতি করেন না। আমিও প্রতি দিন রামস্তুতি করি।…. যাদের জন্য জীবনভর করেছি, তাদের কাছে আমি খারাপ। আর যাদের জন্য করিনি, তাদের কাছে ভাল।
বিচারপতি: এ ভাবে বলবেন না। যাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁদের আমি ভীষণ গুরুত্ব দিই। আপনি, সুখেন্দুশেখর রায় (তৃণমূলের রাজ্যসভার সাসংদ) বা বিকাশদা (আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভা সাংসদ) এটা বলতে পারবেন।
কল্যাণ: রাজনীতি, ওকালতি ছাড়তে চাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy