পার্কিং নিয়ে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ছেলের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, লেক থানা এলাকার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে হুমায়ুনের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে তাঁর বড় ছেলে থাকেন। ওই আবাসনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা আতিউর রহমানের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। অভিযোগ, আবাসনের পার্কিং লটে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে আতিউরের নিরাপত্তারক্ষী সুব্রত পালের সঙ্গে হুমায়ুনের বড় ছেলে শারিক কবীরের বচসা বাধে। সুব্রতের অভিযোগ, ‘‘আমার মালিক খোলা জায়গায় গাড়ি রাখায় হুমায়ুন কবীরের বড় ছেলে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বচসা বাধে। উনি আমাকে মারধর করেন। আমার মালিকের গাড়িও ভাঙচুর করেন। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে শারিক কবীরকে একাধিক বার ফোন করা হলেও সেটি বেজে গিয়েছে। মেসেজ করা হলেও উত্তর আসেনি। যদিও আতিউরের নিরাপত্তারক্ষীর অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছেন শারিক কবীরের বাবা, বিধায়ক হুমায়ুন। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমি ওই ফ্ল্যাটটি ২০০৯ সালে কিনেছিলাম। ওখানে আমার বড় ছেলে থাকে। আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই পার্কিং লট আমরা কিনেছি। অথচ, সেখানে আতিউর দিনের পর দিন গাড়ি রাখছেন।’’ হুমায়ুনের অভিযোগ, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আতিউর দীর্ঘ দিন ধরে ঝামেলা পাকাচ্ছেন। এ নিয়ে আমাদের তরফে আগেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আতিউরই অহেতুক আমার ছেলেকে হেনস্থা করেছেন। আমার ছেলে চিকিৎসক। ও কখনও কাউকে মারধর করতে পারে না।’’ পাল্টা আতিউরের জবাব, ‘‘হুমায়ুন কবীর মিথ্যা কথা বলছেন। পুলিশ বিষয়টি লঘু করে দেখালে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হব।’’ লেক থানার পুলিশ পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)