প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।
টানা এক মাসের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কি ক্লান্ত তৃণমূলের বিধায়কেরা? না কি ‘টিম পিকে’র নির্দেশকে আর সে ভাবে আমল দিচ্ছেন না তাঁদের একাংশ? জনজাতি কর্মী বাহিনী তৈরির কাজে এই টানাপড়েন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
সময়সীমার পরে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্র পিছু ১০ জন জনজাতি অংশের দলীয় কর্মীর নাম দিতে পারেননি বিধায়কদের অধিকাংশই। তৃণমূলের ২০৮ বিধায়কের মধ্যে গত শুক্রবার পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের কাছে ১২৫ জন তাঁদের তালিকা জমা দিয়েছেন। আর অন্য দল থেকে এসেছেন, এই রকম ১৫ বিধায়ক এই তালিকা দিলেও বড় অংশই এখনও নিজের কেন্দ্রে নির্দিষ্ট ১০ জনের নাম ‘টিম পিকে’র কাছে পাঠাতে পারেননি। দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই নিয়ে পরামর্শদাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা বারবার তাগাদা করেছেন। এই অনাগ্রহে ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব ফের এক বার দলের বিধায়কদের যত দ্রুত সম্ভব এই নামের তালিকা জমা দিতে বলেছেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘দলের সব বিধায়কই জনসংযোগের কর্মসূচিতে আন্তরিক। দু’এক জন কিছু কাজ করে উঠতে পারেননি। তাঁরাও করে ফেলবেন।’’
জুলাইয়ে শুরুর সময়ে ‘পিকে’র জনসংযোগ কর্মসূচিতে পূর্ণোদ্যমে নেমে পড়েছিলেন দলের বেশির ভাগ বিধায়ক। দলের প্রায় সব বিধায়কই ‘পিকে’র প্রস্তাবিত ‘গ্রাম-দর্শন’ কর্মসূচি সেরেছেন একেবারে বেঁধে দেওয়া নিয়মেই। দলীয় সূত্রে খবর, তৃতীয় দফার পর থেকেই এই উদ্যমে টান পড়েছে। এই পর্যায়ে বহু জায়গায় বিধায়কেরা কর্মসূচির সব ধাপ সম্পূর্ণ করেননি। বা তার তথ্যও যথাযথ ভাবে ‘টিম পিকে’র কাছে পাঠাননি। সব অংশের প্রতিনিধি নিয়ে ‘টিম পিকে’ যে ভাবে সংগঠনকে সাজাতে চাইছেন, এর ফলে তা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।
বিধায়কদের অনাগ্রহের কারণেই কি এই পরিস্থিতি? না কি লাগাতার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে তাঁরা ক্লান্ত? দলের এক নেতার কথায়, ‘‘জনসংযোগের কাজের সঙ্গে এই তালিকা তৈরির কোনও রকম বিরোধ নেই। তবে চলতি মাসে লম্বা সময় অধিবেশন চলায় তাঁদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে হয়েছে। ফিরে গিয়ে নিশ্চয়ই পাঠাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy