তৃণমূলের টিকিটে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন তমোনাশ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম কোনও বিধায়কের মৃত্যু হল।
তমোনাশ ঘোষ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটে জিতে তিনি তিনবার বিধায়ক হন। ১৯৯৮ থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ভোটের লড়াইয়ে বিরোধীদের হেলায় হারালেও করোনা-যুদ্ধে হার মানতে হল তাঁকে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাস ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তমোনাশ। শুরু থেকেই পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক ছিল ফলতার বিধায়ক তামোনাশের। তিনি অসুস্থতাকে প্রথম দিকে গুরুত্ব দেননি। পরিস্থিতি বেশ গুরুতর হয়ে ওঠার পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই কারণেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন। তমোনাশ ঘোষের সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে নিজের উদ্বেগ গোপন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তমোনাশের পরিবারের আরও কয়েকজনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সময়মতো চিকিৎসা করিয়ে তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বলে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। যাঁরা রোগ গোপন করতে চেয়েছেন বা গুরুত্ব দেননি, তাঁদেরই বিপদ বেড়েছে— এমনও বলেছিলেন তিনি।
যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন থেকেই বেশ গুরুতর অবস্থা ছিল তমোনাশের। মাঝে জানা যায়, কিছুটা উন্নতি হয়েছে অবস্থার, তবে সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। কিন্তু গত তিন দিনে ফের দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। একে একে তাঁর নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ সকালে জানিয়েছে, মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরেই বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তমোনাশ ডায়াবেটিক ছিলেন। যাঁর জেরে কোভিডের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই তাঁর বুকে প্রচুর কফ জমেছিল। অস্ত্রোপচার করে সেই কফও বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবুও শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনও ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ
বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি তমোনাশের পরে ভর্তি হন। কিন্তু সুজিতের চিকিৎসা সময় মতো শুরু হওয়ায় তিনি বেশ তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তমোনাশ ঘোষ আর ফিরতে পারলেন না।
আরও পড়ুন: রোগীকে ফেরালেই কড়া শাস্তি, নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর
তমোনাশের মৃত্যুর পর টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমোনাশের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
He has left a void that will be difficult to fill. On behalf of all of us, heartfelt condolences to his wife Jharna, his two daughters, friends and well wishers. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 24, 2020
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy