রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। ফাইল চিত্র।
যত দোষ মোবাইলের!
ভাইরাল ভিডিয়োর জেরে দলের তরফে শো-কজ় হওয়ার পরেই রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর বাড়িতে মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ হল। এই মর্মে নির্দেশিকা বাড়ির সদর দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলের লোকজন ‘সব লুটেপুটে খাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন শ্রীকান্ত। তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের একাংশ জেলা নেতা-নেত্রীকে নাম করেই নিশানা করেছেন তিনি। গত শুক্রবার নিজের অনুগামী কিছু কর্মীকে নিয়ে শালবনিতে এক পাড়া-বৈঠকে শ্রীকান্তের সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো সরাসরি পৌঁছয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। এ থেকে স্পষ্ট বৈঠকে হাজির শ্রীকান্তর অনুগামীদের কেউই মোবাইলে ভিডিয়োটি করেছিলেন। তার জেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শো-কজ় করা হয় মন্ত্রীকে। দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে জবাবি চিঠি পাঠান মন্ত্রী। আর তারপরই এই মোবাইলে রাশ।
শ্রীকান্ত এখন থাকেন শালবনি ব্লক সদরে নতুন বাড়িতে। মঙ্গলবার সেই বাড়ির মূল ফটকে ওই বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। সাদা কাগজে নীল কালিতে লেখা, ‘মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। আদেশ অনুসারে।’
সবটাই কি ভিডিয়োর জের? ফোনে শ্রীকান্তের দাবি, ‘‘আমি শালবনিতে নেই, কলকাতায় এসেছি। বাড়ির দরজায় এমন পোস্টার তো কারও দেওয়ার কথা নয়।বাড়ির কেউ দিয়েছে কি না খোঁজ নিচ্ছি।’’ কিন্তু সে দিনের বৈঠকে মোবাইলে যিনি সব রেকর্ড করেছিলেন, তিনি তো আপনারই অনুগামী? এ ভাবে আপনাকে বিপাকে ফেললেন কেন? মন্ত্রীর জবাব, ‘‘ও আমার খুব কাছের লোক নয়। দলে তো গদ্দার থাকেই।’’ এ ব্যাপারে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কে, কী বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছেন, জানি না।’’ জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের পাল্টা খোঁচা, ‘‘মোবাইল আটকে কি আর সত্যি চেপে রাখা সম্ভব!’’
প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, নিরাপত্তা কমানো হতে পারে শ্রীকান্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy