সংবাদমাধ্যমের সামনে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিল্লি থেকে চিঠি এসেছে দিলীপ ঘোষের নামে। সেই কুলুপ-চিঠি নিয়ে প্রাক্তন সহকর্মীকে বিঁধতে ছাড়লেন না একদা বিজেপি সাংসদ, বর্তমানে বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। আনন্দবাজার অনলাইনের এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে বাবুল খোঁচা দিয়ে লিখলেন, ‘দিলীপ ঘোষ ভার্বাল ডায়ারিয়ার রোগী। তাঁর কোনও লজ্জা নেই, চিকিৎসাও নেই।’
পরশুদিনই লিখেছিলাম যে শ্রী @DilipGhoshBJP 'Verbal Diarrhoea-র রুগী•তাঁর কোনো লজ্জা নাই, চিকিৎসাও নাই• বেশ চলছিল রোজ ভোরবেলা
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) May 31, 2022
'বাণীর-প্রাতঃকৃত্য - সারাদিন মানুষ তাতে দুদণ্ড হাসির খোরাক পেতো•চিঠি দিয়ে 'রগড়ে' দিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিল•অবশ্য এমনিতেও আন্দামানে পাচার-order হয়েছিল pic.twitter.com/ZmdWwzBM7y
গত শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানাকথা’য় এসে বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিয়েছিলেন দিলীপ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যা বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দিলীপকে মুখে কুলুপ আঁটতে বলে যে চিঠি এসেছে, তার কারণও শনিবারের সেই সাক্ষাৎকার, বলেই তাঁরা মনে করছেন। এই প্রসঙ্গেই এ বার দিলীপকে খোঁচা বাবুলের। দিলীপকে ‘ভার্বাল ডায়ারিয়া’র রোগী হিসেবে অভিহিত করে বাবুল কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন, দৈনিক প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দিলীপের ‘গরম গরম’ মন্তব্যের দিকেও।
‘অ-জানাকথা’য় এসে দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘রগড়ে দেব বলেছিলাম, এখনও বলছি সুযোগ পেলেই রগড়াব।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিলীপের সেই লব্জ ব্যবহার করে বাবুলের খোঁচা, ‘চিঠি দিয়ে রগড়ে দিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিল।’ পাশাপাশি বাবুলের দাবি, দিলীপকে আন্দামানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিতে দিলীপের সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক এতই ‘মধুর’ যে তার রেশ বাবুল দল ছাড়ার পরও রয়ে গিয়েছে। শনিবার ‘অ-জানাকথা’য় বাবুল সম্পর্কে দিলীপের তির্যক মন্তব্য কারও নজর এড়ায়নি। বাবুল প্রসঙ্গে দিলীপ সে দিন বলেছিলেন, ‘‘বাবুলদার সঙ্গে আমার ঝামেলা কিছু ছিল না। বাবুলদা এক জন শিল্পী। রাজনীতিতে খুব একটা ফিট হন না শিল্পীরা।’’ বিজেপিতে থাকার সময় বাবুলকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও দাবি করেছিলেন দিলীপ। বলেছিলেন, ‘‘আমি কড়া ভাবে বলেছি। এখানে চলবে না। এটা বিজেপি। এটা দিলীপ ঘোষ চালায়। চোখে চোখ রেখে বলেছি। সবাইকে বলতাম।’’ বাবুলও তেমনই সুযোগ পেলেই দিলীপকে জবাব ফেরাতে ছাড়েন না। শনিবার তাঁকে নিয়ে দিলীপের বলা কথা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় বাবুল টুইটে লিখেছিলেন, ‘খড়্গপুরে ২০২৪-এ জিততে পারলে আমার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করবেন দিলীপবাবু।’ এ বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে মুখে লাগাম পরানোর চিঠির পর আবার নতুন করে দিলীপকে খোঁচা বাবুলের।