Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বীজপুরেও নেতাদের পথে ‘জয় শ্রীরাম’

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি কয়েকটা আসন জিতে অসভ্যতা শুরু করেছে। যেখানে আমরা জিতেছি, সেখানে আমরা এ রকম করলে থাকতে পারবে?’’

গন্ডগোল: শনিবার বীজপুরের কাঁচরাপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

গন্ডগোল: শনিবার বীজপুরের কাঁচরাপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৯ ০৩:১৬
Share: Save:

ভাটপাড়ার পরে এ বার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ঘিরে উত্তপ্ত হল বীজপুর। শনিবার সেখানে বৈঠক করতে গিয়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা এই স্লোগানের কবলে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে হয়। পরে কড়া প্রহরায় নেতা-মন্ত্রীদের যাওয়ার রাস্তা করে দেয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে দলের কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের পাশ থেকে একই রকম স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। দু’দফায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এ দিন অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল পুলিশ। পরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি কয়েকটা আসন জিতে অসভ্যতা শুরু করেছে। যেখানে আমরা জিতেছি, সেখানে আমরা এ রকম করলে থাকতে পারবে?’’

এ দিন বীজপুরের কাঁচরাপড়ায় তৃণমূলনেত্রী আলোরানি সরকারের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। ১৪ জুন এখানে দলীয় বৈঠক করার কথা দলনেত্রীর। তার প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে এসেছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক ও মদন মিত্রেরা। এই বৈঠকের কথা জানতে পেরে এলাকায় বিজেপি বিক্ষোভ শুরু করে। আলোরানির বাড়ির সামনে বেলা ১২টা নাগাদ সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা জানান, এ ভাবে বাইরে থেকে এসে এলাকায় মিটিং করা যাবে না। এর পরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে কাঁচরাপাড়া চত্বর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এলাকার দোকানপাট কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। কড়া পুলিশি ব্যবস্থায় বার করে দেওয়া হয় নেতা-মন্ত্রীদের। বেরোনোর পথে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের গাড়ি ঘিরেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ চলে।

বিকেলে সাংসদ অর্জুন সিংহের নেতৃত্বে নৈহাটি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অর্জুন বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয়, সুজিত লোকসভা ভোটে নিজেদের এলাকায় হেরেছেন। আবার এখানে দখল নিতে এসেছে। এ সব এখানে চলবে না।’’

জগদ্দল থানাতেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অবরুদ্ধ হয়ে যায় এলাকা। নির্বাচনের সময় বিজেপির দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের চাকরির কথা আশ্বাস দিয়েছেন অর্জুন।

অন্য বিষয়গুলি:

Bizpur TMC BJP Jai Shree Ram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy