প্রতীকী চিত্র।
দলবল নিয়ে রক্তদান শিবিরের জায়গা দেখতে যাচ্ছিলেন খড়দহের তৃণমূল নেতা রণজয় শ্রীবাস্তব। বিটি রোডে আচমকাই তাঁর গাড়ির পথ আটকায় এক দল যুবক। রক্তদান শিবির আয়োজন নিয়ে বচসা বাঁধে দুই পক্ষের। তারপরই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। চালানো হয় গুলি। বাকিরা পালিয়ে গেলেও, গাড়ির সামনে বসা ওই তৃণমূল নেতার গলা ফুঁড়ে যায় গুলি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় ধৃতেরাও শাসক- ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
শুক্রবার রাতে খড়দহের এই খুনের ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপির মধ্যে। নিহত রণজয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের হিন্দি সেলের সম্পাদক ছিলেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যে পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারাও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। নভেম্বর মাসের মধ্যেই খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “সর্বতো ভাবে নিন্দা করছি এই ঘটনার। আমরা হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীও চাইছেন রাজ্যে শান্তি থাকুক। কিন্তু কিছু সমাজবিরোধী ঢুকে গিয়ে অশান্তি করছে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
খড়দহের পঞ্চাননতলার বাসিন্দা ৪০ বছরের রণজয় প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন টিটাগড়ের বড় মসজিদ এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছিলেন রণজয়রা। তার প্রস্তুতি দেখতে চার-পাঁচ জনকে নিয়ে টিটাগড়ের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই দলেই ছিলেন এলাকারই এক যুব নেতা সোনু সাউও। রণজয়ের ঘনিষ্ঠ সন্দীপ প্রসাদ জানান, খড়দহ পুরসভার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাগদিপাড়ায় সন্ধ্যা সিনেমা হলের সামনে কয়েকজন তাঁদের গাড়ি আটকায়। কেন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে রণজয়ের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। সন্দীপ বলেন, “ওই দলে আট-দশ জন ছিল। আচমকাই ওরা গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ে। তখন আমরা পালিয়ে গেলেও দাদার গলায় গুলি লাগে।”
ঘটনায় কানা বিনোদ ওরফে বিনোদ মল্লিক, জুয়ালাকুমার মল্লিক, মহসীন খান, জুহিদ হোসেন এবং মহম্মদ শাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy