কর্নিক হাতে প্রধান। নিজস্ব চিত্র
কর্নিক হাতে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে রাস্তা তৈরির কাজে নামলেন তৃণমূল প্রধান মুকুল মুর্মু। রবিবার বালুরঘাটের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে পথশ্রী প্রকল্পে এ দিন ওই অঞ্চলের নকশা সংসদের আমতলি খালিয়াপাড়া এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পে ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারের মাধ্যমে এক কিলোমিটারের কিছু বেশি ওই ঢালাই রাস্তা তৈরিতে প্রায় ৩০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা পঞ্চায়েত প্রধান মুকুল নিজেও দিনমজুর। দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার টানতে তাঁকে খেত মজুরি থেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ মুনমুন পাহান বলেন, ‘‘বিয়ে হয়ে আসার পরে প্রায় ২০ বছর হয়ে গেলেও খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়েই এত দিন কষ্ট করে আমাদের চলাচল করতে হত। এমনকি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে চাইত না।’’ প্রধান স্বেচ্ছায় ওই কাজে যুক্ত হওয়ায় তাঁরা কাজের মান নিয়েও আশ্বস্ত। এ বার টোটো করে তাঁরা বাড়ি যেতে পারবেন বলে জানান মুনমুন।
বাসিন্দারা জানান, নকশা সংসদের খালিয়াপাড়া এলাকার ডিপ-টিউবওয়েল মোড় থেকে সুরেন পাহানের বাড়ি পর্যন্ত ১ কিমি ২০০ মিটার কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা তৈরি প্রকল্পে এ দিন কাজের সূচনা হয়। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া। রাস্তা তৈরির কাজ ঠিকাদার সংস্থা ঠিকঠাক করছে কিনা, তা দেখভালের পাশাপাশি স্বয়ং প্রধান নিজেই কর্নিক হাতে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে নেমে পড়ায় তাঁরা আরও খুশি।
এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের রাস্তার দাবি পূরণ করতে পেরে খুশি মুকুল। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা তৈরির কাজে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই কাজে নেমে পড়ি।’’ ঠিক মতো রাস্তা তৈরির লক্ষ্যে তাঁর ওই প্রয়াস বলে প্রধান মুকুল মুর্মু জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy