কুণাল ঘোষ।
ট্যাবলো বিতর্ক আর থামছেই না। ইতিমধ্যে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন আধারিত রাজ্যের ট্যাবলো বাদ দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এবার তৃণমূল দাবি করল, এই ভাবে বাংলার কণ্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। সোমবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফের তিনি তুলে আনলেন ট্যাবলো বিতর্ক থেকে সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ভূমিকার কথা। সেই সঙ্গে কুণালের প্রশ্ন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি সুভাষচন্দ্র বসুকে কেন দেওয়া হল না? তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকার ঘোষণা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র। কিন্তু তাঁর সম্মানের জন্য, অন্তর্ধান রহস্যের সমাধানের জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ মোদী সরকার করেনি। এখন ট্যাবলো বিতর্কে কোণঠাসা হয়ে মূর্তি নেই ঘোষণা করে হলোগ্রাম মূর্তি বসাতে হয়েছে।''
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ যুদ্ধের এক অন্যতম স্মারক সেটাকে ইন্ডিয়া গেটে নিভিয়ে দিয়ে বিকল্প, এটা কি কোনও সুস্থ লোক করতে পারে? ভারতর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে কৃতিত্বের যুদ্ধ বাংলাদেশ যুদ্ধ। যেখানে একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল ভারতবর্ষ। তার অমর জওয়ানদের নিয়ে কী অসুবিধা ছিল! সেটিকে তুলে নিয়ে গেলে প্রশ্ন আসবে না? ইতিহাস মুছে দেওয়ার প্রশ্ন আসে না?’’
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া গেটে ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্মবার্ষিকীতে হলোগ্রাম মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ৫০ বছর পর ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি নিভিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ যুদ্ধে শহিদ সেনাদের স্মৃতিতে জ্বালানো হত এই মশাল। এই জ্যোতি নিভিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন কুণাল।
প্রজাতন্ত্র দিবসের নেতাজি ট্যাবলো প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আরও দাবি করেন, নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যে যে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল তার একটিও করেনি কেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘‘মুখার্জি কমিশন যখন পরিষ্কার বলে দেয় রেনকোজির মন্দিরের চিতাভস্ম নেতাজির নয়, তখন পরবর্তী কালে আর তদন্ত হল না কেন?’’ দেশের সামনে কেন সমস্ত ফাইল আনছে না মোদী সরকার, প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy