ভরতপুরের বিধায়ক তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর। ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের সালারে সম্প্রতি বেশ কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছে। সে সম্পর্কে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন ভরতপুরের বিধায়ক তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর। দলের যুব সংগঠনের একটি সভায় সম্প্রতি হুমায়ুন মন্তব্য করেন, ‘‘যেখান থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই, বিজেপিরও একই অবস্থা। সিপিএমেরও একই অবস্থা। তা হলে আমাদের কেন বোমা বাঁধতে হবে?’’
বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম— সব দলের নেতৃত্বই বিধায়কের এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, বিধায়ক প্রাকারান্তরে মেনে নিচ্ছেন যে, তৃণমূলই বোমা বাঁধছে, বোমা সংগ্রহও করছে। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় পাল্টা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ওই বিধায়কের নিজস্ব মত। বোমা, গুলি নিয়ে খুনের রাজনীতি তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়।”
হুমায়ুনের ওই বক্তব্য-সহ একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি। তবে পরে বৃহস্পতিবার হুমায়ুন বলেছেন, ‘‘ওই ভিডিয়োয় আমার বক্তৃতার সম্পূর্ণ উল্টো বা ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ওই অঞ্চলে বিরোধীরা নেই বললেই চলে। সেখানে কেন বোমা উদ্ধার হচ্ছে? তৃণমূল নিশ্চয়ই তৃণমূলকে বোমা মারবে না! কারা ওই বোমা মজুত করেছে, সেটা পুলিশ ও প্রশাসনকে খুঁজে বার করে শাস্তি দিতে হবে। বোমা উদ্ধার হওয়ার পরেই পুলিশের কাজ শেষ হয়নি, সেটা মনে রাখতে হবে পুলিশকে। এটাই ছিল আমার মূল বক্তব্য।”
হুমায়ুন একাধিক বার বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। কখনও ভরতপুর থানার তৎকালীন ওসি-কে হুমকি দিয়েছেন। ভরতপুর থানার পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওসি-র বদলি চেয়ে রাত পর্যন্ত থানার গেটের বাইরে ধর্না দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেক টাকা খরচ করে তাঁর জন্মদিন পালন করা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমার মন্তব্যের যদি কেউ ভুল ব্যাখ্যা করেন, সে ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। আমি সুস্থ রাজনীতি করার পক্ষে।’’ জেলা সভাপতি শাওনি বলেন, “পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে নিজেদের কর্তব্য পালন করছে, এটুকু বলতে পারি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy