প্রতীকী ছবি।
ছ’দিন পরে গ্রেফতার করা হল শিক্ষিকাকে হেনস্থার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান অমল সরকারকে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দনপুর থেকে ওই উপপ্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার হলেন। দুই অভিযুক্ত ফেরার। অভিযোগকারিণী শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার নন্দনপুরে রাস্তা তৈরি নিয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে বচসা হয় অমলের। অভিযোগ, তার জেরে ওই শিক্ষিকাকে দড়িতে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। মারধরের ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোমবার পুলিশ তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু মূল অভিযুক্ত উপপ্রধান অধরা ছিলেন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই ঘটনার খোঁজ নেয় কলকাতা হাইকোর্ট ও জাতীয় মহিলা কমিশন। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে নালিশ জানায় বিজেপি প্রতিনিধিদল।
পুলিশ জানিয়েছে, মালদহের নালাগোলা থেকে বাসে নন্দনপুরে ফিরছিলেন অভিযুক্ত উপপ্রধান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেফতার করে। এ দিনই গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তকে এক দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক দু’জনের খোঁজ করা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, পুলিশের কাছে নালিশ জানানোর পরে থেকেই কয়েক জন সন্দেহভাজন লোক সব সময় তাঁকে অনুসরণ করছে। বৃহস্পতিবার বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে যাওয়ার পথেও কয়েক জন তাঁকে অনুসরণ করে বলে শিক্ষিকার অভিযোগ। তিনি জানান, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ দিন তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। আগামী বুধবার তা নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার বাড়ির সামনে পুলিশ ও সিভিককর্মী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy