কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কয়লা পাচারে অভিযুক্তের ছবি ঘিরে বিতর্ক রাজনীতিতে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
কয়লা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত জয়দেব খাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল রাজ্য রাজনীতিতে। ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায় কয়লা পাচার-সহ নানা বেআইনি কাজে জড়িত থাকা অভিযোগ রয়েছে বক্তানগর এলাকার বাসিন্দা জয়দেবের বিরুদ্ধে। এক সময় তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দলের কয়েক জন জেলা স্তরের নেতার সঙ্গে নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যেত তাঁকে। কিন্তু ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন জয়দেব।
অবশ্য জয়দেবের অনুগামীদের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদানের পরেই তৃণমূলের আক্রোশের শিকার হতে হয় তাঁকে। তাঁর নামে কয়লা পাচার-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় বিভিন্ন থানায়। তবে সিবিআইয়ের খাতাতেও তাঁর নাম রয়েছে। বছর কয়েক আগে জয়দেবের ঠিকানায় সিবিআই তল্লাশিও হয়েছিল।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বহু মঞ্চেই জয়দেবকে দেখা গিয়েছিল বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে। রানিগঞ্জে বেশ কয়েকটি সভার আয়োজকও তিনি ছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জয়দেবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এর জেরে বেশ কিছু দিন তিনি ‘আড়ালে’ ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে মুক্ত হন। ইদানীং জয়দেবের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়েছিল বলে এলাকাবাসীর একাংশ বলছেন।
পরিবহণ ও ইটভাটার ব্যবসার পাশাপাশি জয়দেবের কয়লার বৈধ ব্যবসাও রয়েছে। তবে আড়াল থেকে এলাকার বেআইনি কয়লা ব্যবসার অনেকটাই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুর্গাপুর-আসানসোল এলাকায় কয়লাখনি অঞ্চল পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীর পাশে বিতর্কিত কয়লা ব্যবসায়ীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দুর্গাপুরে এসে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী যে হোটেলে ছিলেন সেটি রাজু ঝা নামে স্থানীয় এক কয়লা মাফিয়ার বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
অভিষেক শুক্রবার প্রহ্লাদ ও জয়দেবের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ছবি পোস্ট করে টুইটারে লেখেন, ‘দাগি কয়লা মাফিয়া জয়দেব খাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী করছেন। দেশের সম্পদ লুট করে বিজেপির ঝুলি ভরানোর আলোচনা করছেন না কি লুটেরাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সিবিআই এই মাফিয়া-মন্ত্রী চক্রের দিকে নজর দেয় না।’ অন্য দিকে, প্রহ্লাদ-জয়দেবের ছবি প্রকাশ করে কুণালের টুইট, ‘কয়লা চোর আর কয়লামন্ত্রী এক ফ্রেমে। বাঃ কী সুন্দর দৃশ্য।’
রাজ্য বিজেপির নেতা শমীক ভট্টাচার্য ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কয়লামন্ত্রী তো রাজনৈতিক দল করেন, হরিনাম সঙ্কীর্তনের দল নয়। বহু মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের পাশে আসেন, ছবি তোলেন, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পাশে দেখা যায়। সেটাকে ফিল্টার করার মতো সারা দেশে, সারা পৃথিবীতে কোনও ছাঁকনি এখনও তৈরি হয়নি। কয়লাতে কাদের হাত ময়লা মানুষ সেটা জানেন। অচিরেই তাদের নাম সামনে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy