মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সংবিধান দিবসকে সামনে রেখে কেন্দ্রের শাসক বিজেপিকে বিঁধতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার অধিবেশনে আগামী ২৮ নভেম্বর ওই প্রস্তাবের উপরে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, এক বছর আগে সংবিধান দিবসে এই রকম আলোচনার দিনেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁর ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ ঘিরে তরজা চরমে উঠেছিল।
সংবিধান দিবস পালন করা হয় ২৬ নভেম্বর। তবে এ বার ২৬শে ছুটির দিন থাকায় রাজ্য বিধানসভায় তা পালিত হবে ২৮ তারিখ। দেশের সংবিধান রক্ষার প্রয়োজনকে সামনে রেখে ওই দিনই বিধানসভার কার্যবিধির ১৬৯ ধারায় একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার পক্ষ। অধিবেশনের আগে বুধবার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠক ছিল। তার পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। শাসক শিবির সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও কার্যকারিতা নষ্ট করার অভিযোগে প্রস্তাব এনে বিধায়কেরা এই বিতর্কে অংশ নেবেন। তৃণমূলের ওই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তো বটেই, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রও বিপন্ন হচ্ছে বিজেপির শাসনে। তা থেকে সংবিধানকে রক্ষা করতে রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনতে চাইছে তৃণমূল। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২৪ নভেম্বর।
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দলই নয়! তাই তাদের কোনও বক্তব্য, বিল, প্রস্তাব কোনও কিছুর গ্রহণযোগ্যতা জনমনে নেই। তৃণমূল বিধানসভায় বসে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, সংবিধানকে অবমাননা করছে।’’
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় বিতর্কের দিনই নিজের ঘরে বিরোধী দলনেতাকে আলোচনায় ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির দুই বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই সৌজন্য-সাক্ষাতের আয়ু ফুরোয় তখনই। বরং, তা নিয়ে পরস্পরের দিকে আঙুল তুলে তরজায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy