Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৪
TMC

দলে ‘সমন্বয়’ জরুরি, পথ খুঁজছে তৃণমূল 

গোষ্ঠী ও ক্ষমতার কেন্দ্রগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে তৃণমূল প্রথম হাত দিয়েছে উত্তরবঙ্গে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রবিশঙ্কর দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ০৬:০৪
Share: Save:

আদি ও নব— এই দুই অংশের বিরোধ মিটিয়ে সমন্বয় তৈরির প্রচেষ্টা এখনও বহাল। তার মধ্যেই এ বার যুব তৃণমূলের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলার যুবশক্তি’ নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের পরে নতুন দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা নিয়ে দলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে এই বিবাদে যে ক্ষতি হয়েছে, তা মাথায় রেখে সব অংশের সমন্বয়ে নতুন ফর্মুলা খুঁজছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

গোষ্ঠী ও ক্ষমতার কেন্দ্রগুলিকে এক সুতোয় বাঁধতে তৃণমূল প্রথম হাত দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। নতুন করে উত্তরবঙ্গের জেলা সংগঠন সাজাতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। কোচবিহারে দল ছেড়ে দলকে হারিয়ে বিজেপির প্রতীকে সাংসদ হন এক প্রাক্তন যুব নেতা। এখনও দলের দুই অংশের এই সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। দলীয় সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উত্তরবঙ্গের যে সব জেলায় প্রয়োজন, সেখানে সাংগঠনিক রদবদলের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তৃণমূল।

দক্ষিণবঙ্গেও সাংগঠনিক সমন্বয়ে কিছু বদল আনা হতে পারে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘শুধু দায়িত্ব বদল করে সমন্বয় বাড়ানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব বেড়ে যাবে। ভোটের সংগঠনে সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে না পারলে ক্ষতি হবে। সেই কারণেই সমন্বয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও মূল স্রোতের সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর বসেছিলেন দলের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সেই বৈঠক খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। বরং দক্ষিণবঙ্গের ওই দাপুটে নেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিজের অবস্থানে তিনি অনড়।

করোনা ও আমপান দুর্যোগের মধ্যেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলের প্রবীণ এক কর্মীর খুনের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জেলার এক নেতার কথায়, ‘‘একাধিক বিধানসভা এলাকায় এই অংশের একেবারে বৈরিতার সম্পর্ক। দলীয় বিধায়কদেরও অনেকেরই এই বিভাজনের কারণে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক খুব খারাপ।’’

ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরেও ক্ষমতার বাইরে থাকা অংশের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছে। তবে তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতা বলেন, ‘‘এখন যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ দেখা যাচ্ছে, ভোটে তা থাকে না। কারণ তখন সরকার গঠনের লক্ষ্যই সকলের কাছে মুখ্য হয়। সরকার না থাকলে গোষ্ঠী থাকবে না।’’

দলের অন্দরে কান পাতলে অবশ্য এখন থেকেই বিধানসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের চর্চাও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় সংগঠনের শক্তি রক্ষায় সমন্বয়কেই অস্ত্র করতে চাইছে তৃণমূল।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Cyclone Amphan Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy