শিশির অধিকারী। —ফাইল চিত্র
শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ-পদ খারিজের দাবিতে ফের তৎপর হল তৃণমূল। করোনা ও ইয়াস দুর্যোগের পরে সাংসদদের পরিষেবা থেকে তাঁদের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ ‘বঞ্চিত’ হচ্ছেন বলেই এই তৎপরতা বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন কাঁথি ও বর্ধমান (পূর্ব)-এর দুই সাংসদ শিশিরবাবু ও সুনীল। শিশিরবাবু প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে বিজেপিতে পা রেখেছিলেন। আর সাংসদ সুনীল তার আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে ব্যবস্থার দাবি করে আগেই লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফের সেই অভিযোগ সামনে এনে বুধবার দুই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে বিজেপির স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভার পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। তার পরেই এই বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হয়েছে তৃণমূল। কুণালের প্রশ্ন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে যদি সাংসদ-পদ ছেড়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে আসা স্বপনবাবুর ব্যাপারে এমন জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তবে ওই লোকসভা আসনের সাংসদদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের প্রতীকে জিতেও বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই দুই সাংসদের পরিষেবা থেকে তাঁদের কেন্দ্রের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। অবিলম্বে ওই দুই সাংসদের পদ খারিজ করে নতুন করে নির্বাচন করা হোক।’’ দলত্যাগী দুই সাংসদ অবশ্য এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। শিশিরবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগ জানাতেই পারে। বিষয়টি লোকসভার স্পিকারের বিচার্য। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’ সুনীল বলেন, ‘‘তৃণমূল যা করার করেছে। ঠিকই করেছে। আমিও চিন্তা-ভাবনা করছি।’’
পাশাপাশি রাজ্যসভায় স্বপনবাবুর এ বারের মনোনয়ন নিয়েও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কুণালের মন্তব্য, ‘‘দলীয় রাজনীতির বাইরের বিশিষ্টেরাই সাধারণত রাষ্ট্রপতির মনোনীত হিসেবে রাজ্যসভায় সাসংদ হয়ে থাকেন। স্বপনবাবুর প্রথম বারের মনোনয়নও সে রকম ছিল। কিন্তু সেই পদ ছেড়ে এসে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ে এবং হেরে গিয়েছেন তিনি। তার পরে তাঁর এ বারের মনোনয়ন শুধু অস্বাভাবিকই নয়, দৃষ্টিকটুও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy