মুখ্যসচিবকে বদলির নির্দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার রাতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র এবং বিজেপি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। করোনা এবং ইয়াস পরিস্থিতিতে এই বদলির নির্দেশের উদ্দেশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষতি করা নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষতি করা।’’
কুণালের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে হেরে পশ্চিমবঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি জানান, আলাপনের আগামী ৩১ মে পর্যন্ত কার্যকালের মেয়াদ থাকলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ৩ মাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সরকার তাতে সায়ও দিয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘‘ভোটে হারার পরে যত রকম ভাবে নোংরামো করা যায় ওরা (বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার) সেটাই করছে।’’
আলাপনের বদলির নির্দেশের পর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন তৃণমূল সাংসদ। কলাইকুণ্ডায় মোদীকে প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখেন অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, এর পরই আলাপনের বদলি নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তা নিয়ে কেন্দ্রীর সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে মোদীর নাম না করে টুইটারে মহুয়ার কটাক্ষ, ‘৩০ মিনিট অপেক্ষার করানোর অভিযোগ নিয়ে এত হইচই? ভারতীয়রা ১৫ লক্ষ করে টাকা পাওয়ার জন্য ৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। এটিএমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। টিকা পাওয়ার জন্য মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষায়। কখনওসখনও আপনিও তো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন’।
So much fuss over an alleged 30 min wait?
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) May 28, 2021
Indians waiting 7 years for ₹15 lakhs
Waiting hours at ATM queues
Waiting months for vaccines due
Thoda aap bhi wait kar lijiye kabhi kabhi...
শুধু তৃণমূলই নয়, আলাপনের বদলি নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাম নেতা দীপঙ্কর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘মোদী সরকার আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত একটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে টেনে আনাটা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ইতিহাসে অত্যন্ত নিম্নরুচির। সমস্তটাই বাংলার মানুষকে শাস্তির দেওয়ার জন্য, যেখানকার মানুষজন মো-শা (নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ)-এর বাংলা দখলকে রুখে দিয়েছে’।
নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশ ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার। বিজেপি নেতা, সায়ন্তন বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই বিষয়টির সঙ্গে আমরা যুক্ত নয়। এটা রাজনীতির বিষয়ই নয়। পুরোপুরি প্রশাসনিক বিষয়। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার জড়িত।’’ তবে সেই সঙ্গেই সায়ন্তনের যুক্তি, আইএএস আধিকারিকেরা আদতে কেন্দ্রের অধীনেই কাজ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy