অমিত শাহ, জগদীপ ধনখড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং জে পি নড্ডা।
রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বিষয়টি নিয়ে মমতার সমালোচনা করেছেন। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবমাননার অভিযোগ করেছেন তাঁরা সকলেই।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেন মমতা। কিন্তু পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেননি তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দিঘায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
At the Review Meet by PM #CycloneYaas to assess damage caused. CM and officials @MamataOfficial did not participate.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 28, 2021
Such boycott bot in consonance with constitution and federalism.
Certainly by such actions neither public interest nor interest of state has been served. pic.twitter.com/59P11OBaAe
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অমিত টুইটারে লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আজকের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিম্নস্তরের। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বহু নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলেছে। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার সময়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিদি তাঁর অহংবোধকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। আজকের নিচু স্তরের আচরণ তারই প্রতিফলন’।
Today is a dark day in India’s long-standing ethos of cooperative federalism, a principle held sacred by PM @narendramodi.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 28, 2021
CM @MamataOfficial has shown once again that she is insensitive to the sufferings of the people of West Bengal.
রাজ্যপাল এ প্রসঙ্গে টুইটারে লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর আধিকারিকেরা অংশ নেননি। এটি আসলে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বয়কট। অবশ্যই এমন পদক্ষেপের ফলে জাতীয় স্বার্থ বা রাজ্যের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি’।
যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী @narendramodi জী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র ক্ষতিগ্রস্থ বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মমতা জীর উচিত ছিল জনগণের কল্যাণার্থে নিজের অহং-কে বিসর্জন দেওয়া। পিএম এর বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সমবায় মৈত্রীতন্ত্রের হত্যা।
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) May 28, 2021
শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, ‘আজ ভারতের দীর্ঘলালিত সহযোগিতমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি কালো দিন’। সেই সঙ্গে সরাসরি পর্যালোচনা বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ফের দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুর্দশার প্রতি তিনি সংবেদনশীল নন’। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন ধনখড় এবং শুভেন্দু।
Mamata Didi’s conduct today is an unfortunate low. Cyclone Yaas has affected several common citizens and the need of the hour is to assist those affected. Sadly, Didi has put arrogance above public welfare and today’s petty behaviour reflects that.
— Amit Shah (@AmitShah) May 28, 2021
নড্ডা শুক্রবার বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে লেখেন, ‘যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছেন, তখন মমতাজির উচিত ছিল, জনগণের কল্যাণে নিজের অহংবোধ বিসর্জন দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি আর সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার হত্যা’। অন্য দিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের টুইট— ‘পশ্চিমবঙ্গে আজকের ঘটনা মর্মস্পর্শী। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠান। দু’জনেই জনসেবা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সংবিধানের আনুগত্যের শপথ নেন’।
आपदा काल में बंगाल की जनता को सहायता देने के भाव से आए हुए प्रधानमंत्री के साथ इस प्रकार का व्यवहार पीड़ादायक है।जन सेवा के संकल्प व संवैधानिक कर्तव्य से ऊपर राजनैतिक मतभेदों को रखने का यह एक दुर्भाग्यपूर्ण उदहारण है, जो भारतीय संघीय व्यवस्था की मूल भावना को भी आहत करने वाला है।
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) May 28, 2021
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আসার পর তাঁর সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হল তা যন্ত্রণাদায়ক। জনসেবামূলক কাজের জন্য সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের উপরে রাজনৈতিক মতভেদকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ এটি। যা ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে’।
রাজ্যপাল এবং বিজেপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় শুক্রবার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে বাংলার মানুষ ওঁদের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা জোট বেঁধে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীকে উপদেশ দিলেন। কিছু কিছু ব্যক্তি কখনোই শিখতে চান না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর খুনিদের জেনে রাখা উচিত যুক্তরাষ্ট্রীর কাঠামো কোনও একমুখী রাস্তা নয়। ওঁর (মমতা) কাছ থেকে শিখুন। জ্ঞান দেবেন না’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy