কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুনতে চান বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর এই মন্তব্যের সূত্রেই দলের অন্দরে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একাংশে প্রশ্ন, এ ভাবে কি শীর্ষ স্থানীয়, মমতা-ঘনিষ্ঠ প্রবীণদেরই আলাদা করতে চাওয়া হয়েছে?
শাসক দলে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দূরত্বে’ শনিবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল। রাজ্য প্রশাসনের আমলাদের একাংশ সম্পর্কে তাঁর ‘রোষে’র মনোভাব দলেরই কিছু নেতার কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই আবহেই রবিবার কুণাল ওই মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলে মমতাদি শ্রীরামকৃষ্ণ আর অভিষেক বিবেকানন্দের মতো। সেই কারণে নেত্রীর কথা অভিষেকের মুখেই শুনতে চান দলের কর্মীরা।’’ দলে অভিষেক শিবিরের সৈনিক বলে পরিচিত কুণালের এই মন্তব্যের পরে জল্পনা শুরু হয়েছে প্রবীণ- শিবিরে। অনেকেই মনে করছেন, কুণালের এই মন্তব্যে সেই অংশকেই আলাদা করার চেষ্টা হয়েছে। এবং দল ও প্রশাসন পরিচালনায় তাঁদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিষেককেই নিশানা করছে বিরোধীরাও। এই সংক্রান্ত প্রশ্নে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন মন্তব্য করেছেন, ‘‘কী এমন যোগ্যতা ভাইপো’র আছে যে, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলা কথা নিয়ে ভাবিত হতে হবে! ভাইপো তাঁর পিসির আলোয় আলোকিত। সেই পিসিকে নন্দীগ্রামে হারিয়ে দেখিয়েছি।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘পিসির ভাইপো বলেই তো উনি নেতা হয়েছেন! বাংলার মানুষের তাতে কোনও লাভ হয়নি,বরং রাজনীতিকে কলুষিত করা ও লুটের কাজে পিসিকে অনুসরণ করেছেন। হতে পারে, ডিসেম্বরে রাজ্যে সরকারেরও দ্বিতীয় ব্যক্তি হবেন ভেবেছিলেন। সেটা হয়নি বলে এখন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে অভিমান হয়েছে।’’ সিপিএম নেতার আরও দাবি, ‘‘তৃণমূলের মধ্যেই ভিন্ন সুর দেখা গেলে নরেন্দ্র মোদীরা খুশি হবেন। বিজেপি তো মহারাষ্ট্রের মতো এখানেও শিন্ডে খুঁজছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy