ভারতের আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক ‘পাঞ্চি’ পরেই ভোট দেন বিজেপির বিধায়কেরা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটারদের ‘প্রভাবিত’ করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করল তৃণমূল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়করা আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক ‘পাঞ্চি’ পরে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে বালুরঘাটের অর্থনীতিবিদ বিধায়ক অশোক লাহিড়ি, প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিধায়ক অশোক ডিন্ডা, মালদহের আদিবাসী বিধায়ক জুয়েল মুর্মু থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের আদিবাসী বিধায়ক জিম্বারা ‘পাঞ্চি’ পরে ভোটদান করেন। বিজেপির পক্ষ থেকে ‘ইলেকশনে এজেন্ট’ করা হয়েছিল পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে। তিনিও ‘পাঞ্চি’ পরে ভোট পরিচালনার কাজ করছিলেন।
ভারতের আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক এই ‘পাঞ্চি’। হলুদ রঙের একটি কাপড়ে আদিবাসী সংস্কৃতির সুতোর নকশা করে তৈরি হয় এই ‘পাঞ্চি’। যা মাথায় পরলে নাম হয় ‘পাঞ্চি দেড়ি’। আর ধুতির আদলে পড়লে নাম হয় ‘পাঞ্চি দেঙ্গা’। বিজেপির ৬৯ জন বিধায়ক এই ‘পাঞ্চি’ পরেই ভোট দেন। বিষয়টি নজরে আসে তৃণমূল পরিষদীয় দলের। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বিষয়টি নজরে আনেন নির্বাচন কমিশনের। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন করে অভিযোগ জানান রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও নারী শিশু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
অভিযোগের সুরে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘আমরা দেখলাম বিজেপি বিধায়ক যিনি রাষ্ট্রপতি ভোটে ওদের এজেন্ট হয়েছেন, তিনি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক ‘পাঞ্চি’ পরে বসে আছেন। তা ছাড়া আমরা অভিযোগ জানিয়েছি, যে বিজেপি বিধায়করা ‘পাঞ্চি’ পরে ভোট দিতে এসেছেন। কিন্তু নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটের সময় কোনও ‘সিম্বল’ নিয়ে ঢোকা যায় না। যদিও এটা কোনও ‘সিম্বল’ নয়, কিন্তু এটা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যে সম্প্রদায়ের, তার সিম্বলিক। যা পরা যায় না।’’ শশী বলেছেন, ‘‘ভোটকেন্দ্র সব সময় নিরপেক্ষ রাখতে হবে। কিন্তু কোন ভাবেই বিজেপি পরিষদীয় দল ভোটকেন্দ্রকে নিরপেক্ষ রাখতে দিচ্ছে না। সেই কারণেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আদিবাসী ভোট ভেঙে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই আমাদের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ করছে ওরা। এ সব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। আমরা আদিবাসী সাংস্কৃতিকে সম্মান দিয়ে ‘পাঞ্চি’ পরে ভোট দিয়েছি। কোনও রাজনৈতিক প্রতীক সেখানে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy