রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (বাঁ দিক থেকে)। ফাইল ছবি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি ঘিরে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যা বিবৃতি দিয়েছেন, তাকে ‘চাকরি বাঁচানোর বিবৃতি’ বলে আখ্যা দিল তৃণমূল। রাজ্যপালের ‘গোপন তদন্ত’কেও ‘হয় পক্ষপাতদুষ্ট, নয়তো বিশ্বাসযোগ্যতাহীন’ বলেও মন্তব্য করা হল। রাজভবনের বিবৃতির কড়া নিন্দা করে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির দূত হিসাবে আচরণ করলে সৌজন্য দেখানো হবে। যে দিন বিজেপির দূত হয়ে যাবেন, সেই দিন থেকে তেমনই জবাব পাবেন।’’ অন্য দিকে, রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে নিশীথকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
শনিবার নিশীথের গাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে রবিবার কড়া বিবৃতি জারি করা হয় রাজভবন থেকে। সেই বিবৃতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। জানিয়েছেন, তিনি নিশীথের সঙ্গে কথা বলেছেন। গোপন তদন্ত করে তার প্রেক্ষিতে নবান্নের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন। তার প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, ‘‘এটা চাকরি বাঁচানো বিবৃতি। উনি প্রথম বাক্যে গোপন তদন্ত নিয়ে যা বলেছেন, তা হয় পক্ষপাতদুষ্ট, নয়তো বিশ্বাসযোগ্যতাহীন। কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কিংবা ওঁর অনুরোধে আসা প্রাক্তন আমলাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। তার পর বলছেন যে, উনি নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তা হলে এটা কেমন তদন্ত হল? উল্টো দিকের বক্তব্যও তাঁর শোনা উচিত ছিল। ওখানে নিশীথ প্রামাণিক যাঁদের উপর হামলা করেছেন, উনি তো তাঁদের কথা শুনলেনই না। তা হলে এটা কিসের রিপোর্ট হল!’’
রাজ্যপালের পদক্ষেপকে ‘একতরফা’ বলে মন্তব্য করেন কুণাল। বলেন, ‘‘উনি তো একতরফা কাজ করেছে। যিনি নাটক করছেন, উনি তো তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। নাটক যাঁরা ধরে নিচ্ছেন, তাঁদের যুক্তিটা কেন শুনলেন না? ওঁর যদি রাজ্য পুলিশকে জ্ঞান দেওয়ার এত ইচ্ছে হয়, তা হলে বিএসএফকে কেন সেই কথা বলেননি? রাজবংশী ছেলেকে মারা হল যে! তা নিয়ে কেন চুপ? উনি রাজধর্ম কাকে শেখাচ্ছেন? উনি যত দিন রাষ্ট্রপতির দূত থাকবেন, সৌজন্য দেখিয়ে কথা বলব। যে দিন বিজেপির দূত হয়ে যাবেন, সে দিন তার মতো করেই জবাব দেব।’’
বিজেপির বক্তব্য, সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসাবে রাজ্যপাল যা করেছেন, তা সঠিক। অগ্নিমিত্রার কথায়, ‘‘রাজ্যপাল আমাদের সংবিধানের রক্ষাকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে, তা রাজ্যের মানুষ জানেন। আজ এখানকার পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলা প্রমাণ করে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের পুলিশমন্ত্রী কতটা ব্যর্থ।’’ অভিষেককে গ্রেফতারের দাবি তুলে পদ্ম বিধায়ক বলেন, ‘‘তৃণমূল একদলীয় শাসন চায়। আজ আক্রান্তও বিজেপি, গ্রেফতারও বিজেপি। নিশীথ প্রামাণিক বারবার বলছেন, ওঁকে খুনের ছক কষা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ এটায় উনিই প্ররোচনা দিয়েছেন। তাই ওঁকে আগে গ্রেফতার করা উচিত। রাজ্যপাল সংবিধানের প্রধান হয়ে চুপ করে বসে থাকবেন? আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে উনি তো কঠোর পদক্ষেপ করবেনই। এটা ওঁর অধিকার এবং কাজ। হিংসার শিক়ড় উপড়ে ফেলতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy