Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Atif Rasheed

Election Commission: প্রশ্নে কমিশন-সদস্যের ‘রাজনৈতিক যোগ’

মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদ একদা বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পদে ছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২১ ০৬:৫৩
Share: Save:

রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার সেই কমিশন দলের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদকে নিয়েও প্রশ্ন উঠল। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, একদা বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকা আতিফকে এই দলের সদস্য করা হয়েছে। তার থেকেই স্পষ্ট, গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যেই ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ রয়েছে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।

এ দিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে চর্চা হয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তৃণমূলের অন্যতম আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি টুইটে জানিয়েছেন, বর্তমানে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং রাজ্যে ভোট-পরবর্তী সময়ে অশান্তির ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের দলের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদ একদা বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং যুব সংগঠন, যুব মোর্চার সর্বভারতীয় পদে ছিলেন। তিনি দিল্লিতে সংখ্যালঘু মোর্চারও শীর্ষ পদে ছিলেন। সিঙ্ঘভি সরাসরি কিছু না-বললেও তাঁর ইঙ্গিত যে কার্যত রাজনৈতিক অভিসন্ধির দিকে তা নিয়ে অনেকেই সহমত।

তবে আতিফ বলছেন, “জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারে বসার দিন থেকে আমার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমার পরিচয়ের দিকে নজর না-দিয়ে আমরা যে রিপোর্ট দিয়েছি তা নিয়ে কথা বলা উচিত।” তাঁর বক্তব্য, তিনি বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কেউ তো স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কিছু করেননি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই ঘটনার অনুসন্ধান করেছেন এবং আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, রিপোর্টের কিছু বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আতিফের বক্তব্য, তাঁরা যেখানে-যেখানে গিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, অভিযোগ শুনেছেন সেগুলির ছবি এবং ভিডিয়ো করা হয়েছে। তার উল্লেখও রিপোর্টে রয়েছে। খুন, ধর্ষণ, হামলার ঘটনা নিয়ে রিপোর্টের পরিশিষ্ট অংশগুলিতে নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, যদি রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকে তা হলে রাজ্য সরকার আদালতে বলুক যে ওই অভিযোগগুলি অসত্য।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy