শুক্রবার সারা দিন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর বন্ধ থাকার জেরে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিটেনযাত্রার সময়সূচি পিছিয়ে যেতে পারে। সূচি অনুযায়ী, শনিবার সকালের বিমানে কলকাতা থেকে দুবাই রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাওয়ার কথা। তবে শুক্রবার রাতে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সংস্থার বিমানে তিনি যাবেন, শেষ পর্যন্ত তারা নিশ্চিত করলে শনিবার রাতের বিমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা-ও পিছিয়ে যেতে পারে। কারণ হিথরোতে শনিবারে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে কি না জানা নেই। মমতা যে বিমানে যাবেন, তা হিথরো বিমানবন্দরে না-ও নামতে পারে। হিথরোর বদলে সেই বিমান গিয়ে নামতে পারে গ্যাটউইক বিমানবন্দরে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হিথরো থেকে মাত্র আটটি বিমান ‘জরুরি পরিস্থিতি’তে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছে।
লন্ডনে সোমবার থেকে মমতার কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। মঙ্গলবার রয়েছে বাণিজ্য সম্মেলন। বুধবার হওয়ার কথা সরকারি স্তরে বাণিজ্য-বৈঠক। আগামী বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী শুক্রবার তাঁর লন্ডন থেকে কলকাতায় রওনা হওয়ার কথা। যাত্রার সময় পিছিয়ে যাওয়ায় সোমবারের কর্মসূচি কী হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পশ্চিম লন্ডনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে যায়। তার ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। তারই জেরে শুক্রবার সারা দিনের জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে হিথরো বিমানবন্দরে। কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণায় বিপাকে যাত্রীরা। হিথরো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট (লন্ডনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী) পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, হিথরো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শুক্রবার অন্তত ১,৩৫১টি বিমান বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, লন্ডন শহরের পশ্চিমে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। এর ফলে শুধু হিথরো বিমানবন্দর নয়, শহরের ১৬০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকল। ভারতীয় সময় রাতে জানা যাচ্ছে, আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।