একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে যাওয়ায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটার জেরে শুক্রবার সারা দিনের জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। কর্তৃপক্ষের আকস্মিক এই ঘোষণায় বিপাকে যাত্রীরা। হিথরো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকবে। ঘটনাচক্রে, শনিবার সকালেই সাত দিনের সফরে লন্ডন রওনা হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার লন্ডনের সময় রাত ৮টা নাগাদ হিথরোয় পৌঁছোনোর কথা তাঁর। আপৎকালীন এই পরিস্থিতিতে সেই উড়ানের সময় পিছিয়ে যাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনে রওনা হতে পারেন সোমবার সকালে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, হিথরো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় শুক্রবার অন্তত ১৩৫১টি বিমানের পরিষেবা ব্যাহত হতে চলেছে। বিমান ওঠানামার পরিসংখ্যান রাখে, এমন একটি ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়, তখন হিথরোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ১২০টি বিমান। মাঝ আকাশেই হিথরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পান ওই বিমানগুলির চালকেরা।
হিথরো বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। প্রতি ঘণ্টায় বহু আন্তর্জাতিক বিমান এই বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। শুক্রবার ভোরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে যাওয়ায় হিথরোয় পর্যাপ্ত বিদ্যুতের অভাব দেখা দিয়েছে। আমাদের যাত্রী এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হচ্ছে।”
ওই বিবৃতিতে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ঘোষণার জন্য সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীদের একাংশ। অনেকের প্রশ্ন, কী এমন বিদ্যুৎ বিপর্যয় যে, যার জন্য একটি ব্যস্ত বিমানবন্দরকে সারা দিনের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়? কারও আবার প্রশ্ন, হিথরোর মতো বিমানবন্দরে কেন জেনারেটর বা বিকল্প কোনও উপায়ে বিদ্যুতের জোগান দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে না?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, লন্ডন শহরের পশ্চিমে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। এর ফলে শুধু হিথরো বিমানবন্দর নয়, শহরের ১৬০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।