তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা
এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক। আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন, গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক। পড়শি রাজ্যের ধৃত তিন বিধায়কের ওই আবেদনের পরেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির অনুমতি দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য। সেই মতো বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং অয়ন ভট্টাচার্য।
শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচ জনকে। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। তাঁদের থেকে টাকার ব্যাপারে কোনও সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় ওই তিন বিধায়ক— রাজেশ কাছাপ, নমন বিক্সাল কোঙারি এবং ইরফান আনসারিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালক চন্দন কুমার ও কংগ্রেস নেতা কুমার প্রতীককে। এই ঘটনায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এই সিআইডি তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবীদের আবেদন, অবিলম্বে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। প্রয়োজনে সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক মামলার তদন্তভার। মামলাকারীর আইনজীবীদের দাবি, রাজনৈতিক ভাবে তদন্তকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এফআইআর-এর কপিও দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটেও তা আপলোড করা হয়নি।
সিআইডির তদন্তে সঠিক বিচার পাওয়া সম্ভব নয় দাবি করে মামলাকারীর আইনজীবীদের বক্তব্য, হিসাব বহির্ভুত টাকা থাকা কালো টাকা আইন এবং আয়কর আইনের আওতায় পদক্ষেপ করা হোক। সিআইডির কোনও অধিকার নেই এই মামলার তদন্ত করার। এই মামলায় বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সওয়াল করবেন সরকারি আইনজীবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy