Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal

মমতার দফতর বণ্টনে কারও যোগ, কারও বিয়োগ, বাড়তি গুরুত্ব পেলেন কয়েকজন মন্ত্রী

বদল হয়েছে পার্থ, ব্রাত্য, ফিরহাদের দায়িত্বে। বেড়েছে চন্দ্রিমার দায়িত্ব। হয়েছেন পুর-নগরোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ১৬:০৪
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে রাখা দফতরে কিছু রদবদলের পাশাপাশি এ বার মন্ত্রিসভাতেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বদল এনেছেন। গত মন্ত্রিসভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর ছিল গৌতম দেবের হাতে। এ বার গৌতম হেরে যাওয়ার পরে সেই দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মমতা। এ বার সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর নিজের হাতে রাখেননি মমতা। গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি পেলেন সেই দায়িত্ব। তবে কোনও বদল আসেনি অর্থ দফতরে। আগের দু’দফার মতো এ বারেও অমিত মিত্রই রয়েছেন। তবে অমিতের দায়িত্বে নতুন এল পরিকল্পনা পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা রূপায়ন দফতর। এটি আগে ছিল তাপস রায়ের হাতে। তাপসকে এ বার মন্ত্রী করা হয় নি। তাঁকে বিধানসভায় তৃণমূলের উপ-মুখ্য সচেতক করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ বদল এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বে। ২০১১ সালে প্রথম মমতা সরকারে তিনি যে যে দফতরের দায়িত্বে ছিলেন এ বার ঠিক সেই দফতরই পেয়েছেন। দ্বিতীয় সরকারে পাওয়া শিক্ষা দফতর হাতছাড়া হয়েছে। এখন তিনি শিল্প ও বাণিজ্যর সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী। পর পর তিনবার পরিষদীয় দফতরের দায়িত্বও তাঁর হাতেই রইল। আরও একটি বড় বদল খাদ্য দফতরে। হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে গত ১০ বছর ছিল এই দফতর। এ বার সেখানে এলেন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ রথিন ঘোষ। জ্যোতিপ্রিয় পেলেন বন ও অচিরাচরিত শক্তি দফতর। এর আগে বন দফতর ছিল তৃণমূলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। দ্বিতীয়টির দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে পঞ্চায়েত দফতর সুব্রতর হাতেই রইল। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও শিল্প-পুনর্গঠন দফতর।

ফিরহাদ হাকিমের দফতরেও বদলে এসেছে। পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রক হারালেও ফিরহাদ পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা পরিবহণ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দায়িত্বে থাকা আবাসন দফতর। পুর-নগরোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা। তিনি আগে স্বাস্থ্য ও আবাসন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ বারেও স্বাস্থ্য দফতরে থাকছেন তিনি।

মলয় ঘটক এবং অরূপ বিশ্বাসের দফতরেও কিছু বদল এসেছে। বাকি দুই আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর হাতে থাকলেও মলয় হারালেন শ্রম। সঙ্গে বড় দায়িত্ব হিসেবে পেলেন অরূপের হাতে থাকা পূর্ত দফতর। শ্রম দফতরের স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী হলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। আবার অরূপ পূর্ত হারালেও পেলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা বিদ্যুৎ দফতর। সেই সঙ্গে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ। আর ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব পেলেন কৃষি দফতর। যা ছিল এ বার মন্ত্রী না হওয়া আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

প্রথম মমতা মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী মানস ভুঁইয়া কিছু দিনের জন্য সেচ দফতর সামলেছিলেন। এ বার সবং থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে পেলেন জলসম্পদ দফতর। এর আগে এই দফতর ছিল সৌমেন মহাপাত্রর হাতে। সৌমেন পেলেন সেচ ও জলপথ পরিবহণ দফতর। এর আগে তাঁর হাতে থাকা জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর গেল মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ পুলক রায়ের হাতে।

দফতর বণ্টনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সুন্দরবনকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন মমতা। বাম জমানায় এই দফতর বরাবার সামলেছেন প্রতিমন্ত্রীরাই। তৃণমূল জমানাতেও প্রথমে শ্যামল মণ্ডল ও পরে মন্টুরাম পাখিরা সুন্দরবন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ বার সেখানে পূর্ণমন্ত্রী হয়ে এলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের বিধায়ক এই প্রথমবার মন্ত্রী হলেন। গ্রন্থাগার দফতরে থাকলেও প্রতি থেকে পূর্ণমন্ত্রী হলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গত মন্ত্রিসভায় তিনি পরিষদীয় দফতরেরও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ বার সেই দায়িত্ব নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee West Bengal Cabinet Ministers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE