১৭০টি অ্যাম্বুল্যান্সকে যে ভাবে বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা-সহ রাজ্যে ‘সাধারণ রোগীদের উপযুক্ত’ সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স সাকুল্যে আছে ১৭০টি। তার মধ্যে অবশ্য শুধু কলকাতাতেই ৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। বাকি ১৩০টির ভাগ পেয়েছে ২২টি জেলা। রাজ্যে এমনও জেলা আছে যেখানে একটিও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স নেই!
এ ছাড়া, রাজ্যে ১ হাজারটি ‘১০২’ অ্যাম্বুল্যান্স (জননী-শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত) ও ১৯৭০টি নিশ্চয়যান রয়েছে ঠিকই। তবে তাতে শুধু মা ও শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ রোগীকে সেখানে নেওয়া যায় না।
রাজ্যে একাধিক জেলায় গুরুতর রোগীরা সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পাননি, এমনকি, মারাও গিয়েছেন বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। আলিপুরদুয়ারের একটি চা বাগানের শ্রমিক সুশীল ওরাওঁ অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মারা গিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবারই অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের পরিসংখ্যান দেখিয়ে স্বাস্থ্য-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, এই সংখ্যক অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বাড়ানোর কথা রাজ্য ভাবেনি কেন? রাজ্যের কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘‘রাজ্যে কত কিছুই তো করা হচ্ছে। এটাও নিশ্চয় হবে ধীরে ধীরে। একসঙ্গে তো সব সম্ভব নয়।’’
স্বাস্থ্য দফতরের খবর, ১৭০টি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে ৩০টি গত জুন মাসে এসেছে। তার আগে ১৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়েই সরকারি পরিষেবা চালানো হচ্ছিল। বর্তমানে খাতায়- কলমে ১৭০টি গাড়ি থাকলেও তার সব ক’টি নিত্যদিন পরিষেবা দেয় এমনও নয়। কারণ, এই গাড়ির মধ্যে বেশ কিছু বিকল হয়ে থাকে এবং সময়মতো চালকও মেলে না। অ্যাম্বুল্যান্সের অনুপাতে চালকের সংখ্যা কম বলেও খবর।
স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এই ১৭০টি ছাড়াও সরকারের আরও ১৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। কিন্তু সেগুলি ১৫ বছরের বেশি পুরনো। ফলে তা রাস্তায় চলার যোগ্য নয়।
১৭০টি অ্যাম্বুল্যান্সকে যে ভাবে বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, কলকাতায় তুলনামূলক ভাবে স্বচ্ছল মানুষের বসবাস এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও সরকারি ৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে। তুলনায় প্রান্তিক জেলায় পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স নেই। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর বা নদিয়ার মতো বড় মাপের জেলায় মাত্র দু’টি করে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। তার ফলে কী ভাবে জরুরি ভিত্তিতে রোগীর কাছে গাড়ি পাঠানো যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরাই।
এই প্রসঙ্গেই সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘১০৮’ নম্বরের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার কথাও সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সেই পরিষেবা রাজ্য চালু করতে পারেনি। দু’বার দরপত্র ডাকা হলেও নিয়মের জটিলতায় প্রক্রিয়া আটকে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy