বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর পরিচালন সমিতি (ইসি)-তে আচার্য নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত সদস্য দুলালচন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা এবং পেনশনভোগীদের আন্দোলন সমর্থনের ‘অপরাধে’ তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমা না চাইলে ইসি বৈঠকে দুলালকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে।
উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ (এসি) ইমেল করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। চিঠিতে বলা হয়েছে, দুলাল বিশ্বভারতীর নিয়ম ভেঙে পেনশনভোগীদের আন্দোলন সামিল হচ্ছেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমে নানা বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। এর ফলে বিশ্বভারতীর ইসি-র বৈঠকের গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসছে বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
ইমেলে বলা হয়েছে, আগামী ইসি বৈঠকে দুলালকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁকে আর ইসি বৈঠক অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশ্যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন দুলাল। চলতি মাসে ইসি-র বৈঠকও বয়কট করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত সদস্য দুলাল বৃহস্পতিবার চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত ২৩ অগস্ট সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত্রি ১১টা নাগাদ বিশ্বভারতীর তরফ ই-মেল আসে। সেখানে বলা হয়েছে, আমি নিয়ম না মেনে পেনশনভোগীদের আন্দোলন সামিল হচ্ছি। সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করছি। তাই আমাকে পরবর্তী ইসি-র বৈঠকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আমাকে আর কোনও ইসি বৈঠক অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তবে উপাচার্যের এই তিরস্কার আসলে আমার কাছে পুরস্কার। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমার ইসি সদস্যের মেয়াদ আছে। আমি মনে করি, উপাচার্যের পক্ষপাতদুষ্ট নানা আচরণ সমর্থন করিনি বলেই এই তিরস্কার।’’
পাশাপাশি, উপাচার্য তথা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অধিকার বহির্ভূত পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে দুলাল বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকে মনোনীত করেছেন। ওঁরা কী ভাবে আমাকে এমন চিঠি পাঠাতে পারেন! এটা নিয়ম বহির্ভূত। তবে আমি চিঠির উত্তর বিশ্বভারতীর ইসি-কে দেব। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে জানাব।’’
দুলালের অভিযোগ, উপাচার্য ভুল পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেই তিনি এমন পদক্ষেপ করেন। কর্মরত আধ্যপক এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য সাসপেন্ডের ঘটনাও এমনই উদাহরণ। তবে ই-মেলের বিষয়ে উপাচার্য বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy