প্রতীকী ছবি।
আগামিকাল, সোমবার থেকে ষাট বছরের বেশি বয়সিদের জন্য গণ-প্রতিষেধক প্রদানের কাজ শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত (কো-মর্বিডিটি) থাকা ৪৫ বছরের বেশি বয়সিরাও প্রতিষেধক পেতে পারবেন। তাঁদের অবশ্য চিকিৎসকের শংসাপত্র নিয়ে আসতে হবে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে প্রতিষেধক মিলবে।
শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচনের মধ্যে এমন প্রতিষেধক প্রদানের কাজ চালিয়ে যাওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কিন্তু প্রশাসন সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য যে সাফল্য দেখিয়েছে, এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। প্রতিষেধক নিতে এক পয়সাও খরচ করতে
হবে না।’’
স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে প্রতিষেধক মিললেও বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিষেধক নিতে হলে ২৫০ টাকা দিতে হবে। রাজ্যে ষাট বছরের অধিক মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ। আপাতত রাজ্যের হাতে ৩৬ লক্ষ ডোজ় টিকা রয়েছে। যাতে ১৮ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ করা যাবে। এর মধ্যে ৭ লক্ষ ডোজ় কোভ্যাক্সিন এবং ২৯ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড
ভায়াল রয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবন জানাচ্ছে, শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি এবং টিকাকরণ নিয়ে পর্যালোচনা করেন। রাজ্য সরকার নির্বাচনের আবহে টিকাকরণ সম্পর্কে বয়স্ক মানুষকে কী ভাবে সচেতন করা যাবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা
দাবি করেছে।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, সোমবার থেকেই সমস্ত জেলার সদর হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালগুলিতে প্রতিষেধক প্রদান শুরু হয়ে যাবে। প্রতিষেধকের জন্য তিন ভাবে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। বয়স্করা নিজেরাই ‘কোউইন অ্যাপ’-এর মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন। তা না-পারলে তাঁরা সরাসরি সচিত্র পরিচয় পত্র (আধার, প্যান, ভোটার কার্ড) নিয়ে সরকারি হাসপাতালে এলে তাঁদের নাম স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘কোউইন অ্যাপ’-এ তুলে নিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কেউ একেবারেই অসুস্থ হলে সরকারি পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে বয়স্কদের হাসপাতালে এনে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, আনুষঙ্গিক রোগে আক্রান্তদের প্রতিষেধক নিতে চিকিৎসকের শংসাপত্র লাগবে। তবে তাঁদের নিজেদের পঞ্জিকরণ বা সরকারি হাসপাতালে এসে নাম লিখিয়ে টিকা নিতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিষেধক নিতে হলে যে ২৫০ টাকা দিতে হবে তার মধ্যে ১০০ টাকা টিকাকরণের খরচ এবং বাকি ১৫০ টাকা বেসরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিষেধকের দাম হিসাবে মেটাতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সিংহভাগ মানুষকে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রতিষেধক দেবে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy