নিউটাউনের বাড়িতে টুম্পা কয়াল। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
আট বছর আগের এক দিন।
হঠাৎই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিল একটা নাম, ‘টুম্পা’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে সে দিন কামদুনির টুম্পা কয়াল তাঁর বন্ধুকে ধর্ষণ করে খুনের বিচার চেয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন মৌসুমী কয়ালের মতো আরও অনেক গ্রামের মেয়ে-বৌ।
২০১৩ সালের জুন মাসের সেই ঘটনার পরে রাজ্য রাজনীতিতে জল গড়িয়েছে ঢের। অধুনা ফের চর্চায় ‘টুম্পা’। এ বার বাজারচলতি গান হয়ে মুখে মুখে ফিরছে ‘টুম্পা সোনা’। যে গানের সুরে কথা বেঁধে ব্রিগেডে জোটের প্রচার গত কয়েক দিন ধরে মাইকে বাজছে পাহাড় থেকে সাগরে।
কিন্তু এখন কোথায় কামদুনির সেই টুম্পা কয়াল? কেমন আছেন তিনি?
মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি দাঁড়ানো সেই সদ্য তরুণী এখন ঘোর সংসারী। থাকেন নিউটাউনে। সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে ‘মাওবাদী’ বলে দেগে দিয়েছিলেন, সেই টুম্পা জানালেন, রাজনীতি নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান না। মুখ্যমন্ত্রী কেন যে তাঁদের মতো কয়েক জন গ্রামের মেয়ে-বৌকে সে দিন ওই তকমা দিয়েছিলেন, তা আজও বোঝেন না টুম্পা। জানালেন, ২০১৩ সালে কামদুনিতে যখন ধর্ষণ করে খুন করা হল তাঁদের বান্ধবীকে, সে সময়ে ভোটের তালিকায় নাম পর্যন্ত ওঠেনি তাঁর। রাজনীতি সে দিন বুঝতেন না, এখনও নয়। পুরনো কথা মনেও রাখতে চাননি।
টুম্পা জানালেন, বিয়ের পরে, ২০১৩ সালেই প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিলেন কামদুনির বুথে। ধমকে চমকে বার করে দেওয়া হয়। ভোট দেওয়া হয়নি। সেই থেকে আর কখনওই ভোট দেননি তিনি। টুম্পার কথায়, ‘‘রাজনীতি থেকে দূরত্ব রেখেই চলতে চাই। রাজনীতি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা তেমন সুখকর নয়।’’
তাঁর নামের চরিত্রকে নিয়ে গান যে লোকের মুখে মুখে ফিরছে, সে খবর অবশ্য রাখেন টুম্পা। ব্রিগেডে মিটিংয়েও যে ওই সুরেই বাঁধা গানে ‘টুম্পা’ নাম ভাসছে পাড়ায় পাড়ায়, তা-ও জানেন। একগাল হেসে বললেন, ‘‘কে কোন টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগে়ড যাবে, তা জানি না। আমি তো যাচ্ছি না।’’
তবে গানের চনমনে সুর তাঁরও মন টেনেছে। টুম্পা জানালেন, গত পুজোয় যখন বাড়ি গিয়েছিলাম, আমার ভাইয়ের বৌ গানটা গেয়ে শুনিয়েছিল। খুব হেসেছিলাম। পুজো প্যান্ডেলেও শুনলাম। সবাই বলল, তুই তো দ্বিতীয়বার ফেমাস হয়ে গেলি!” আর এখন রাজনৈতিক প্রচারেও তো সেই গানের সুর, সেই নাম। টুম্পা বলেন, ‘‘সে তো চার দিকেই শুনতে পাচ্ছি। এখন আমার ছ’বছরের ছেলেও দেখি টুম্পা সোনা গাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy