সোনালি গুহ এবং কুণাল ঘোষ।
সোনালি গুহ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে টুইট করেছএন। কিন্তু তৃণমূল কি তাঁকে ফিরিয়ে নেবে? সোনালির মতো আরও যাঁরা ‘ঘরে’ ফিরতে চাইছেন, তাঁদের নিয়েই বা কী সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল?
এ নিয়ে এখনও তৃণমূলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলেই তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ শুধু সোনালি নয়, টিকিট না পেয়ে একঝাঁক তৃণমূল নেতানেত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু তাঁদের ছাড়াই ২১৩টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য নবান্নের মসনদ দখলে রেখেছেন মমতা। তাই বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপি-তে যাওয়া নেতানেত্রীদের ‘ঘর ওয়াপসি’-র ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ শাসকদল।
প্রাক্তন সাংসদ কুণাল অবশ্য পাশাপাশিই বলছেন, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্যই এঁদের আবেদন শুনবেন। আবার সার্বিক রাজনীতিতে এঁদের বাদ দিয়ে যাঁরা এই লড়াইটা জিতে এলেন, তাঁদের আবেগকেও পরিপূর্ণ সম্মান দেবেন। কিন্তু এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনটা, সেটি নিয়েই কোনও আলোচনা হয়নি। এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রের সব ষ়ড়যন্ত্রের মোকাবিলা করা’’
কুণালের কথায়, ‘‘সোনালি গুহ শুধু নন, তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া বহু নেতানেত্রী এখন দলে ফিরতে চাইছেন। তৃণমূলের বহু নেতানেত্রীর কাছে তাঁরা ফিরে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত দলের কোনও উপযুক্ত ফোরামে এই বিষয়ে কোনও আলোচনা করেনি। এবং এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দু’টি বিষয় রয়েছে। প্রথমত, তৃণমূল থেকে তাঁরা চলে গিয়েছিলেন। । ফলে সন্ধিক্ষণে একটা নির্বাচন হয়েছিল। বিজেপি এখানে সবরকম নখদাঁত বার করে ক্ষতি করছিল। কারও ক্ষোভ-অভিমান থাকতেই পারে। যে কোনও দলেই থাকে। কিন্তু শত্রুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার মঞ্চে গিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ওঁরা। কিন্তু তাঁদের বাদ দিয়েই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই লড়াইটা জিতে এসেছেন।’’
বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের প্রথম দিনের বহু নেতানেত্রী অভিমানে দলত্যাগ করেছিলেন বলে মেনে নিচ্ছেন কুণাল। তিনি বলছেন, ‘‘এটাও ঘটনা যে, যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁরা অনেকেই তৃণমূলের বহু পুরোনা কর্মী। সোনালি গুহও অনেক দিনের কর্মী। তাঁর একটি আবেগের জায়গা রয়েছে। একদিকে আবেগের জায়গা। অন্যদিকে শত্রুর সঙ্গে হাত মেলানো। কিন্তু তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া যায় বিজেপি বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করত আর তৃণমূলের ফল ভাল হত না, তা হলে কি তাঁদের এত আবেগ দেখা যেত?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy