দ্রুত নগরায়ণের জেরে একের পর এক আমবাগান উজাড় হয়ে গড়ে উঠছে বহুতল। এমন পরিসংখ্যান হাতে পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উদ্যানপালন দফতর। নিজস্ব চিত্র।
প্রমোটারদের দাপট থেকে আমবাগান বাঁচাতে সমীক্ষা শুরু করছে রাজ্য। জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। রাজ্যের আমবাগানগুলি মূলত রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলায়। দ্রুত নগরায়ণের জেরে একের পর এক আমবাগান উজাড় হয়ে গড়ে উঠছে বহুতল। এমন পরিসংখ্যান হাতে পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উদ্যানপালন দফতর।
মুর্শিদাবাদ ও মালদহে প্রমোটারদের হাত থেকে আমবাগান রক্ষা করতে প্রাথমিক ভাবে উদ্যানপালন দফতর জানতে চাইছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে কতগুলি আমবাগান রয়েছে। সমীক্ষার কাজ শুরু করার আগে ‘ম্যাঙ্গো গ্রোওয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মন্ত্রী। তাদের কাছ থেকে উদ্যানপালন দফতর জানতে চাইবে রাজ্যের কোন জেলায় কত আমবাগান রয়েছে, কত রকমের প্রজাতির আমের চাষ হয়, সেই সব আমগাছের বয়স কত ইত্যাদি।
মন্ত্রী বলছেন, ‘‘সবার আগে আমরা বাগানগুলো প্রসঙ্গে তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে চাইছি। সঠিক তথ্য হাতে পেলেই আমাদের আমবাগানগুলি বাঁচাতে সুবিধা হবে। বিভিন্ন শহরকেন্দ্রিক এলাকা থেকে আমবাগান কেটে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। বাগানগুলোতে তৈরি হচ্ছে বড় বড় আবাসন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রজাতির আম। তাই সমীক্ষার কাজ শুরু করে আমরা আমবাগান বাঁচানোর কাজে হাত দিয়েছি।’’
আমবাগান রক্ষায় কোনও আইন কার্যকর করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমবাগান বাঁচাতে কী ভাবে ভূমি আইন ব্যবহার করা যায় সে ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। যাবতীয় তথ্য হাতে পেলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’ এই কাজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy