প্রতীকী ছবি।
করোনাকালে অনলাইন পাঠ চালু করে দেখা গিয়েছে, অর্থাভাব এবং ইন্টারনেটের দুর্বলতায় গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ পড়ুয়াই সেই ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারেনি। এই টাটকা অভিজ্ঞতার মধ্যেই পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ির নকশা পাশ করানোর কাজকর্ম পুরোপুরি অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি সেই ব্যবস্থা কার্যকরও হয়েছে। তাতে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে এই কাজ অনলাইনেই করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
এতে বাড়িঘরের নকশা পাশের কাজ সরল হবে ঠিকই। তা ছাড়াও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, এতে অর্থ সংগ্রহের যাবতীয় ব্যবস্থা কেন্দ্রীভূত করায় সুবিধা হবে। দ্বিতীয়ত, স্থানীয় স্তরে এই কাজকর্ম ঘিরে অনৈতিক কার্যকলাপে রাশ টানা যাবে। কিন্তু গ্রামবাংলায় কত জন অনলাইন পদ্ধতিতে সড়গড় হতে পারবেন এবং সেই কাজে ইন্টারনেটের সহযোগ কতটা মসৃণ হবে, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
পঞ্চায়েত দফতর লিখিত ভাবে সব জেলাশাসককে জানিয়েছে, ‘ইজ় অব ডুইং বিজ়নেস’ পদ্ধতির আদলে বাড়ি তৈরির নকশার অনলাইন অনুমোদন দেওয়া হবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ স্তরে। গ্রামের মানুষকে অনলাইন আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে। আবেদন মঞ্জুর হলে অনলাইনেই টাকা জমা দিয়ে পোর্টাল থেকে শংসাপত্র পাওয়া যাবে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলি তাদের রাজস্বের ভাগ পাবে। রাজ্য স্তর থেকে এই সব পরিষেবার সরকারি দর স্থির করে দেওয়া আছে। এতে উপভোক্তা এবং প্রশাসনের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির ঢুকে পড়াও আটকে দেওয়া যাবে।”
এক কর্তা বলছেন, “গোটা বিষয়টির উপরে জেলাশাসকদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। ফলে কোথাও একটা শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা চলছে বলে আশা করা যেতেই পারে। পাশাপাশি, পরিষেবা পেতে চাওয়া গ্রামবাসীদের সহায়তা দিতে সরকারি পরিকাঠামোও প্রস্তুত রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy