Advertisement
E-Paper

বার্ড ফ্লু: শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের দল

শিশুটির বাড়িতে বা গ্রামে আশপাশে কোথাও হাঁস-মুরগির খামার নেই বলেই জানা গিয়েছে। দাবি, ওই বাড়িটিতে হাঁস-মুরগি পালন করাও হয় না।

—প্রতীকী ছবি।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৮:০২
Share
Save

মালদহে বার্ড ফ্লু পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট শিশুটির বাড়ি গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। শুক্রবার দুপুরে শিশুটির স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন নিয়েও খোঁজ নেন দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি ও দীনেশ বিশ্বাস। তাঁদের সামনে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানান শিশুর পরিবারের লোকজন এবং কয়েক জন গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, শিশুটির দৈনিক অক্সিজেন জোগানের প্রয়োজন থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। যদিও শিশুটির চিকিৎসার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী।

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি ও দীনেশ বিশ্বাস। হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। পরে যান শিশুটির বাড়ি। সেই বাড়িতে বা পাশের কোথাও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন। কারণ, শিশুটির ক্ষেত্রে বার্ড ফ্লু-র যে প্রজাতির দ্বারা সংক্রমণের ঘটনা, তা পশুপাখির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।

তবে, শিশুটির বাড়িতে বা গ্রামে আশপাশে কোথাও হাঁস-মুরগির খামার নেই বলেই জানা গিয়েছে। দাবি, ওই বাড়িটিতে হাঁস-মুরগি পালন করাও হয় না। তার পরেও কী ভাবে শিশুটি আক্রান্ত হল, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি বলেন, ‘‘বার্ড ফ্লু সংক্রমণের এই ঘটনাটি চার মাস আগের। চিকিৎসা কী হয়েছে, সে সবের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব ব্যাপারেই আমরা খোঁজ নিয়েছি।’’

প্রতিনিধি দলের কাছে এ দিন চিকিৎসা বিষয়ে কিছু সমস্যার কথা জানান শিশুটির পরিবারের লোকেরা। অক্সিজেনের ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত বলেন, ‘‘মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন পরিষেবা রয়েছে। শিশুটিকে সেখানে নিয়ে গিয়েও অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পরিবারটিকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ শিশুটির বাবার বক্তব্য, ‘‘মাছ বিক্রি করে সংসার চালাই। চিকিৎসকেরা ছেলেকে দিনভর অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলেছেন। টাকার অভাবে তা দিতে পারি না। সিলামপুর কিংবা মালদহ মেডিক্যালে যেতেও গাড়ি ভাড়া লাগে ১০০ টাকা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bird flu Maldah Health

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}