বিজয়া দশমীতে কলকাতার মোট ১৬টি ঘাটে হবে বিসর্জন। ফাইল চিত্র
রাত পোহালেই বিজয়া দশমী! শেষ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব। সেই শারদোৎসবের সমাপ্তি পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিমা নিরঞ্জন। তাই নবমীর দিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। বুধবার সকাল থেকে কলকাতার ১৬টি গঙ্গার ঘাটেই প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি সেরে ফেলা হবে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র। জানানো হয়েছে, প্রতিটি ঘাটেই ক্রেন থাকবে। ঘাটে উপস্থিত থাকবেকলকাতা পুরসভার স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধিদল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূলত বাড়ির প্রতিমাগুলিই বিসর্জন হবে বলে মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকরা। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কম থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তবে এই বিসর্জন প্রক্রিয়ায় গঙ্গা যাতে কোনওভাবেই দূষিত না হয়, সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে। তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুর্গা প্রতিমাগুলি জলে পড়লেই কাঠামোগুলি ক্রেন দিয়ে তুলে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিসর্জনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় বিষয়। কারণ প্রতিমার গায়ে থাকা রং ও নানা সজ্জাদ্রব্য থেকে জল দূষণ হতে পারে। তাই আমাদের অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। সেই মতো ক্রেন চালকদের নির্দেশও দেওয়া হবে।’’ এ ছাড়াও গঙ্গায় ফুল, বেলপাতা, মালা ইত্যাদি পুজো সামগ্রীও ফেলা যাবে না বলে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যে ঘাটগুলিতে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার তরফে বিসর্জনের প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছেন মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, বিজয়ার দিনে বেশিরভাগ বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয়। কিছু কিছু ছোট পুজোর প্রতিমাও বিসর্জন হয়। সব ঘাটেই আমাদের লোক থাকবে। দশমীতে ১০০০-১২০০ প্রতিমা বিসর্জন হবে ধরেই প্রস্তুতি রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy