Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
University of Calcutta

সিন্ডিকেটে সম্মতি নেই রাজ্যের

সোমবার উচ্চ শিক্ষা দফতর আগের মতোই জানিয়ে দিল, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায়, তাদের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকলে বিধিভঙ্গ হবে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৪
Share: Save:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এ বারেও সম্মতি দিল না রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর।

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে আইনগত ব্যাখ্যা-সহ সম্মতি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার এই বৈঠক করতে চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার উচ্চ শিক্ষা দফতর আগের মতোই জানিয়ে দিল, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায়, তাদের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকলে বিধিভঙ্গ হবে।

সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমরা আগেও বলেছি যে কোনও মিটিং, কনভোকেশন বিশ্ববিদ্যালয় ডাকতে পারে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। তা হলে কী করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মিটিং ডাকে? আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে নোটিস পাঠিয়েছি। সুপ্রিম কোর্টকে জানাব, দেখুন আপনাদের কথা না শুনে এই বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যের কথায় মিটিং ডাকতে প্ররোচিত হচ্ছে।"

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তার একদিকে রাজ্য আর অন্যদিকে রয়েছেন রাজ্যপাল। সেই মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই বহন করতে হবে বলে সম্প্রতি রাজভবন থেকে নির্দেশ এসেছে। এ দিন ব্রাত্য বলেন, "এটা রাজ্যপাল নৈতিক ভাবে করতে পারেন কিনা তা নিয়ে আগামীকালই কেস ওঠার কথা। সেখানে আমরা যথাবিধি জায়গায় দৃষ্টি আকর্ষণ করব।"

সোমবার রাতেই রাজভবন থেকে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই লড়া হবে বলে রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যদের (অন্তর্বর্তী) বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নিয়েই এই মামলা, তাই আইনজীবীদের খরচ বহন করবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে পুরো চাপ না পড়ে তার জন্য বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় সেই খরচ ভাগ করে নেবে। সিন্ডিকেট বৈঠক না হওয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরীক্ষাবিধি পাশ করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর উত্তর, “আদালত বলছে, তিনি (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে) উপাচার্য নন। তা হলে পাশের বাড়িতে কারা পরীক্ষা দেবেন, না দেবেন, তাতে ওঁর এত গরজ কিসের, বুঝতে পারছি না।“ এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদৌ সিন্ডিকেট বৈঠক করবেন কিনা, সে নিয়ে জানতে বারবার শান্তা ও রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসকে ফোন-মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি। সিন্ডিকেটের বৈঠক মঙ্গলবার হবে কি না, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

University of Calcutta Bratya Basu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy