Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Higher Education Department

সরকারি কলেজের জমির মালিকানা কার হাতে? জমি সংক্রান্ত তথ্য তলব করল উচ্চশিক্ষা দফতর

রাজ্যের সব সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজের জমির তথ্য তলব করা হয়েছে। গড়ে ওঠা কলেজের জমি তাদের নামে কি না, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

The Higher Education Department asked all government colleges in the state to inform about land ownership

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২১
Share: Save:

রাজ্যের সব সরকারি কলেজের জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে উদ্যোগী হল উচ্চশিক্ষা দফতর। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে বিকাশ ভবনে। রাজ্যের সব সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজের জমির তথ্য তলব করা হয়েছে। কলেজের জমি তাদের নামে কি না, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানদের এই তথ্য জানাতে হবে। তবে কেন এই তথ্য তলব, উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে অধ্যক্ষদের এই বিষয়ে কোনও কারণ জানানো হয়নি। প্রত্যেক কলেজের কাছে এই সংক্রান্ত একটি ‘ফরম্যাট’ পাঠানো হয়েছে। সেই ‘ফরম্যাট’-এই কলেজের অধ্যক্ষ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানদের কলেজের জমি সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করে উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠাতে হবে।

বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, লিজ় অথবা কোনও ট্রাস্টের অধীন কিংবা ভাড়া করা জমিতে কোনও কলেজ চলছে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেই তথ্য সংগ্রহ করে উচ্চশিক্ষা দফতর নিজস্ব তথ্যভান্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। রাজ্যের সব কলেজের তথ্য জমা পড়ার পর কী পরিকল্পনা নেওয়া হবে, তা অবশ্য অজানাই রয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরের একাংশ আধিকারিকদের। বর্তমানে রাজ্যে সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত কমবেশি প্রায় ৪০০টি কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলি আবার গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ জমানায়। তাই কলেজগুলির জমির মালিকানা কাদের হাতে রয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে হঠাৎ কেন এমন তথ্য তলব, সে বিষয়ে অন্ধকারে কলেজের অধ্যক্ষেরা। কলেজ অধ্যক্ষদের একাংশের মতে, কতগুলি কলেজের নিজস্ব জমি আছে, কোনগুলি লিজ়ে নেওয়া জমিতে চলছে, কোন প্রতিষ্ঠান কার নামে আছে প্রভৃতি জেনে নেওয়াই সরকারের উদ্দেশ্য।

সম্প্রতি এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বেহাত হয়ে যাওয়া সরকারি জমি কী ভাবে ফেরানো যায়, সে বিষয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের একাংশ মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী এই সংক্রান্ত তথ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে চাইলে যাতে দ্রুত তাঁকে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া যায়, সেই কারণেই নিজেদের আগাম প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। তা ছাড়া উচ্চশিক্ষা দফতরেরও জানা উচিত যে, বর্তমানে কোন কলেজের অধীনে কতটা জমি অতিরিক্ত রয়েছে। যা জানা গেলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে কলেজের সম্প্রসারণ ঘটানো যেতে পারে। উচ্চশিক্ষা দফতরকে তথ্য জানাতে গিয়ে কলেজগুলির নিজেদের আগামী পরিকল্পনাতেও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE