এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শিশু পাচারকারী দম্পতি হাতেনাতে ধরা পড়লেন আর এক ‘দম্পতি’র হাতে!
নিঃসন্তান দম্পতি সেজে যোগাযোগ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকেরা। বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মানিক হালদার এবং তাঁর স্ত্রী মুকুল সরকার। শিশু বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলেন তাঁরা। স্থির হয়, টাকার বিনিময়ে দম্পতির হাতে শিশুকন্যাকে তুলে দেবেন মানিক এবং মুকুল। রবিবার হাওড়ার শালিমার স্টেশনে শিশুটিকে নিয়ে নামতেই ঘটে বিপত্তি। মানিক এবং মুকুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। আর এ ভাবেই আন্তঃরাজ্য শিশুপাচার চক্রের হদিস মিলল। সিআইডি সূত্রে খবর, গয়া থেকে দু’দিন বয়সি শিশুকন্যাকে চুরি করে এনে এ রাজ্যে পাচারের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। ধৃত মানিক এবং মুকুলকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের দুই আধিকারিক নিঃসন্তান দম্পতি সেজে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরা। শেষ পর্যন্ত চার লক্ষ টাকায় তাঁদের কাছে শিশু বিক্রি করতে রাজি হন অভিযুক্তেরা। রবিবার সকালে দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে শালিমার স্টেশনে নেমেছিলেন মানিক এবং মুকুল। গয়া থেকে ওই ট্রেনে চেপেছিলেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল দু’দিন বয়সের শিশুও। স্টেশনে ওত পেতে বসেছিলেন সিআইডি আধিকারিকেরা। সেখানেই মানিক এবং মুকুলকে হাতেনাতে ধরেন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে শিশুকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মানিকের বয়স ৩৮ বছর। মুকুলের বয়স ৩২ বছর। তাঁরা কলকাতার ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, গয়া থেকে চুরি করেছিলেন শিশুকন্যাকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই শিশু পাচার চক্রে আর কে বা কারা জড়িত, তার তদন্তে আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy