Advertisement
E-Paper

ভুয়ো নামে অতিরিক্ত ধান বিক্রির চক্র আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে খাদ্য দফতর

এক জন চাষি খরিফ মরশুমে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু কেউ কেউ ভুয়ো নামে অতিরিক্ত ধান বিক্রি করছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে খাদ্য দফতর।

Symbolic Image.

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ১৩:৪৯
Share
Save

ভুয়ো নামে ধান বিক্রির চক্র আটকাতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে খাদ্য দফতর। এই চক্র কাজ করার ফলে সরকার তো বটেই, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকসমাজ। তাই এ ধরনের অসাধু চক্রকে কড়া হাতে দমন করতে চায় রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতরের নিয়মানুযায়ী, একজন চাষি খরিফ মরশুমে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান সরকারের কাছে নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারেন। সম্প্রতি খাদ্য দফতর জেনেছে, বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে ৪৫ কুইন্টালের অনেক বেশি ধান বিক্রির টাকা জমা পড়েছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ওই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। কৃষকদের নাম করে ধান বিক্রি করার বিশেষ চক্র বহু দিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। এই অসাধু চক্র বন্ধ করতেই কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে খাদ্য দফতর।

দফতর সূত্রে খবর, যাঁদের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউই এখনও পর্যন্ত প্রাপ্য টাকার জন্য দাবি জানাননি। আর তাতেই খাদ্য দফতর নিশ্চিত যে, বেআইনি উপায়ে ধান বিক্রি থেকে আয়ের সুযোগ নেওয়া অসাধু কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সফল হয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রকৃত চাষি নিয়ম মেনে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করে থাকলে তাঁকে অবশ্যই টাকা দেওয়া হবে। তবে অন্যায় উপায়ে কেউ সরকারকে ভুল বুঝিয়ে অসৎ উপায়ে আয় করতে চাইলে তা বরদাস্ত করা হবে না।

দফতরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ভুয়ো নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে ধান বিক্রির বিষয়ে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ওই টাকা যাতে ফেরত নেওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়াও শুরু করেছে খাদ্য দফতর। তবে কোনও কৃষক যদি নির্দিষ্ট নথিপত্র প্রমাণ-সহ জমা দিয়ে নিজের পাওনার দাবি জানান, তাহলে তাঁকে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যে ১৩০০ কোটি টাকার অবাঞ্ছিত লেনদেন আটকানো গিয়েছে। খরিফ মরশুমে নথিভুক্ত চাষিদের অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে ভুয়ো নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সরকারকে ধান বিক্রি করা হয়েছে। তবে, কোনও চাষি যদি সেই টাকা দাবি করেন, তাহলে তাঁকে পর্যাপ্ত প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তিনি যে প্রকৃত চাষি এবং নির্ধারিত সীমার মধ্যেই ধান বিক্রি করেছেন, সেই প্রমাণও দিতে হবে তাঁকে। তবেই তিনি ধান বিক্রির প্রাপ্য টাকা পাবেন। প্রমাণ হিসেবে দিতে হবে আধার কার্ড, জমির নথি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য।

Food Department West Bengal Food Department Rice

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।