সব দফতরের আর্থিক উপদেষ্টাদের বৈঠক ডাকল অর্থ দফতর। ফাইল চিত্র
রাজ্য সরকারের সব দফতরের আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক তলব করল অর্থ দফতর। শনিবার বেলা ১১টায় বিধাননগরের নগরোন্নয়ন দফতরের শুভান্ন ভবনের কনফারেন্স হলে এই বৈঠক হবে। ঠিক কী বিষয়ে এই বৈঠকগুলি ডাকা হয়েছে তা অবশ্য জানানো হয়নি। সম্প্রতি অর্থ দফতরের তরফে একটি চিঠি পাঠিয়ে দফতরগুলিকে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। তবে প্রশাসনিক মহলের অনুমান, সরকারের বিভিন্ন দফতরের আয়-ব্যয়-সহ সার্বিক পরিস্থিতি বিস্তারিত বুঝে নিতেই অর্থ দফতর জরুরি ভিত্তিতে এমন বৈঠক ডেকেছে। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। তাই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে যে সমস্ত জনমুখী প্রকল্প জনমানসে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে কোন দফতর কত খরচ করেছে বা আগামী দিনগুলির জন্য বরাদ্দ রেখেছে, তা জানতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন সরকারি দফতরের আধিকারিকরা।
তবে প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে দফতরগুলির আর্থিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা চাইছে অর্থ দফতর। কারণ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের হাতে খুব বেশি সময় অবশিষ্ট নেই। ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের (সিপিআই) ভিত্তিতে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে। রায় কার্যকর করার জন্য হাইকোর্ট তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ফলেসরকারের হাতে আর দেড় মাসেরও কম সময় রয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন বা হাইকোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার কোনও আর্জি এখনও রাজ্য জানায়নি। সবক’টি দফতরের আর্থিক উপদেষ্টাকে নিয়ে এরকম বৈঠক সচরাচর হয় না। তাই বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কৌতূহল ও জল্পনা তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মচারী মহলে।
তাই সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে গেলে যে ধরনের আর্থিক ধাক্কা আসবে, তা নিয়ে অর্থ দফতর চিন্তিত। তাই এ বিষয়ে সব দফতরের আয়-ব্যয়ের একটি স্পষ্ট হিসাব পেতেই এই জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে সিপিআই’র ভিত্তিতে বকেয়া ডিএ মেটাতে সরকারের একসঙ্গে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে। বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া যায় কিনা, সেই ভাবনাও রয়েছে অর্থ দফতরের, এমনটাই সূত্রের খবর। বর্ধিত হারে এখনকার ডিএ দিতে গেলে সরকারের বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। এই পরিস্থিতিতে কোন কোন খাতে খরচ কমানোর সুযোগ আছে, তাও ওই আলোচনায় উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy